সদ্য প্রয়াত ভারতের কন্নড় অভিনেতা পুনীত রাজকুমার মরণোত্তর চক্ষুদান করে গেছেন। অভিনেতার ইচ্ছে অনুযায়ী তার মৃত্যুর ছয় ঘণ্টার মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পাদন করেন চিকিৎসকদের একটি দল।
এবার পুনীতের দান করা চোখের মাধ্যমে দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন চার অন্ধ ব্যক্তি। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, পুনীতের দান করা চোখে চার তরুণ-তরুণী দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। গেল দুদিনে তিন পুরুষ ও একজন নারীকে ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি করা হয়। বেঙ্গালুরুর নারায়ণ নেত্রালয় চক্ষু হাসপাতালে তাদের সার্জারি সম্পন্ন হয়।
তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় রোগীদের নাম প্রকাশ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে এ সার্জারি হয় এবং বিনামূল্যে করা হয়েছে।
নারায়ণ নেত্রালয় চক্ষু হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ভুজং শেঠি জানিয়েছেন, কর্ণাটক রাজ্যে এই প্রযুক্তি প্রথমবার প্রয়োগ করা হয়েছে। যেখানে চারজনকে চক্ষুদান করা হয়েছে।
কীভাবে এটা সম্ভব হয়েছে? তার উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিটি চোখের কর্নিয়া অর্ধেক করে কাটা হয়। এরপর সামনের এবং দ্বিতীয় অংশটি বিভিন্ন উপকারভোগীদের দান করা হয়।
এর আগে পুনীত রাজকুমারের বাবা কিংবদন্তি অভিনেতা ডা. রাজকুমার ১৯৯৪ সালে মরণোত্তর চক্ষুদান করে গেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি বলে গিয়েছিলেন তার পুরো পরিবার মরণোত্তর চক্ষুদান করবে। সেই ধারাবাহিকতায় পুনীতও মরণোত্তর চক্ষুদান করে গেছেন।
গত ২৯ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান পুনীত। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর। ৩১ অক্টোবর বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য হয় এ তারকা অভিনেতার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, এ অভিনেতা ২৬টি এতিমখানা, ১৬টি বৃদ্ধাশ্রম এবং ৪৫টি বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন। এগুলোতে এক হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী বিনাবেতনে অধ্যয়ন করত। পুনীতের মৃত্যুর পর সেই শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিয়েছেন তামিল অভিনেতা বিশাল কৃষ্ণ রেড্ডি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২১
এনএটি