২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর পৃথিবী থেকে বিদায় নেন মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা খালেদ খান। মৃত্যুর ৯ বছর পর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরূপ একুশে পদকে ভূষিত হলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ২০২২ সালের একুশে পদক ঘোষণা করা হয়েছে। এতে অভিনয়ের জন্য মরণোত্তর স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে যুবরাজকে।
১৯৫৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জন্ম নেন খালেদ খান। তার ডাক নাম ছিল যুবরাজ। পড়াশুনার পাশাপাশি ১৯৭৮ সালে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’তে কাজ করার মাধ্যমে অভিনয়ে পথ চলা শুরু হয় এই মঞ্চনায়কের। সেই থেকে শুরু, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করে গেছেন তিনি। সর্বশেষ মঞ্চে নাগরিকের ‘রক্তকরবী’ নাটকে দেখা যায় তাকে।
মঞ্চের বাইরেও টেলিভিশন নাটকেও অনেক জনপ্রিয়তা ছিলেন যুবরাজ। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য মঞ্চ নাটকগুলো হচ্ছে দেওয়ান গাজীর কিস্সা, নূরুল দীনের সারা জীবন, গ্যালিলিও, রক্তকরবী, দর্পণ ইত্যাদি। তার নির্দেশিত আলোচিত মঞ্চ নাটকগুলো হচ্ছে মুক্তধারা, পুতুল খেলা, কালসন্ধ্যায়, মাস্টার বিল্ডার, ক্ষুধিত পাষাণ ইত্যাদি। তার নির্দেশিত প্রতিটি নাটকই ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়।
মৃত্যুর আগে সর্বশেষ যুবরাজ সুবচনের `রূপবতী` নাটকটির নির্দেশনা দেন। খালেদ খান অভিনীত আলোচিত টিভি নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে সকাল সন্ধ্যা, এইসব দিনরাত্রি, রূপনগর, লোহার চুড়ি ইত্যাদি। আর ‘রূপনগর’ নাটকে `ছি ছি তুমি এত খারাপ` সংলাপটি এখনো মানুষের মুখে মুখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
জেআইএম