ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

টেলিপ্যাব-এর নির্বাচন

টেলিপ্যাবকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যেতে চাই: রোকেয়া প্রাচী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২২
টেলিপ্যাবকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যেতে চাই: রোকেয়া প্রাচী  রোকেয়া প্রাচী 

টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) এর ২০২২-২০২৪ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৯ মার্চ। এই নির্বাচনে কোনো প্যানেল না থাকলেও সমমান প্রার্থীদের একাংশ জোট হয়ে নির্বাচন করছেন।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। সমমান জোটে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। তাদের নেতৃত্বে মোট ২৭ জন প্রার্থী এক হয়ে মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে একটি পরিচিতি সভার আয়োজন করেন।

অনুষ্ঠানের আগে টেলিপ্যাব নির্বাচন-এর কার্যক্রম ও পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন রোকেয়া প্রাচী। নির্বাচনকে পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, খুবই শৈল্পিক ও সাংস্কৃতিকভাবে নির্বাচন করতে চাই। আমরা শিল্পের মানুষ, তাই চাইবো শৈল্পিক ভাবেই নির্বাচন হোক। আমি এবং সাজ্জাদ হোসেন দোদুলসহ যে সমমনারা রয়েছি, আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচন শুধু মাত্র একটি প্রক্রিয়া। তাই উৎসবমুখর পরিবেশেই আমরা নির্বাচনটি করতে চাই।  

প্রযোজক বাঁচলে ইন্ডাস্ট্রি বাঁচবে- উল্লেখ করে রোকেয়া প্রাচী বলেন, আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। টেলিপ্যাবকেও সেই উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যেতে চাই। আমাদের সঙ্গে যে প্রযোজকরা একত্রিত হয়েছেন সবাই মিলে এই সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, প্রযোজক বাঁচলে ইন্ডাস্ট্রি বাঁচবে। তাই প্রযোজকের মুখে হাসি ফুটুক সেই লক্ষ্যে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি একতাই ঐক্য, তাই একসঙ্গে কাজ করব।  

প্রযোজকদের লগ্নি করা অর্থের নিরপত্তা ও তাদের সম্মানের জায়গা নিয়ে কাজ করবেন জানিয়ে এই সভাপতি প্রার্থী বলেন, প্রতিটি পেশাজীবী সংগঠন যেভাবে তাদেরকে সুরক্ষিত করতে পেরেছে বা আর্থিক নিশ্চয়তা করতে পেরেছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে সেই নিরাপত্তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। এখানে প্রযোজকরা যে অর্থ লগ্নি করে তা বাংলাদেশের পেক্ষাপটে বিশাল একটা অংক। কিন্তু সেভাবে দেখলে প্রযোজকদের গুরুত্ব কিন্তু কম নয়। সেই হিসাবে তাদের লগ্নিটা ফেরত আসা, তাদের সম্মানের জায়গা তৈরি হওয়া এবং তাদের আর্থিক নিরাপত্তার যে জায়গা তৈরি হওয়ার কথা সেটা কিন্তু হয়নি। আজকে অনেক টেলিভিশন চ্যানেল হয়েছে, সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে, কাজের পরিধি বিস্তৃতি হয়েছে, কিন্তু তুলনামূলক আমাদের প্রযোজকদের কাজের গতি কমেছে, মুনাফার গতি কমেছে। মূলকথা প্রযোজকরা পরাধীন আছে স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারছে না।  

যোগ করে তিনি বলেন, অনেক সময় গেছে, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির বয়স কিন্তু কম নয়। এখন সময় হয়েছে, খুব সুষ্ঠ চিন্তাধারার মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিকে সুশৃঙ্খল করার। এখন যদি সুশৃঙ্খল না করতে পারি তাহলে এই ইন্ডাস্ট্রি একটা সময় আমাদের হাতে থাকবে না। এখন সংস্কৃতিবান্ধব সরকার ক্ষমতায়, এই সময়ে যদি প্রযোজকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে না পারি তাহলে এর প্রভাব পুরো ইন্ডাস্ট্রির ওপর পড়বে। এখানে অনেকগুলোসংগঠন রয়েছে, সবার স্বার্থে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে এখন ঢেলে সাজাতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করবো। আর এই কাজটি কারও একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাই সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।  

রোকেয়া প্রাচী আরও বলেন, কারও একার নয়, সম্মিলিত সুযোগ-সুবিধার কথা ভাবতে হবে। কেউ অনেক বড় হয়ে যাবে আবার কেউ হতাশায় ফিরে যাবে সেটির সময় এখন আর নেই। সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য বারবার বলতে চাই- আমরা সবাই এক, এগিয়ে যাবে টেলিপ্যাব। আর সুখে-দুঃখে থাকব একসঙ্গে, মরি-বাঁচিও একসঙ্গে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।