কুষ্টিয়া: ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’- বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের এ আধ্যাত্মিক বাণীকে প্রতিপাদ্য হিসেবে নিয়ে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়িতে শুরু হয়েছে লালন স্মরণোৎসব।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাত ৮টায় তিনদিনের এ লালন স্মরণোৎসব উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন।
এ উপলক্ষে লালন একাডেমির মূল মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম।
প্রধান আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান।
আলোচনা শেষে মূল মঞ্চে একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গানগুলো পরিবেশন করেন।
করোনা মহামারিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে টানা দুই বছর লালন স্মরণোৎসব ও লালন তিরোধান দিবসের চারটি অনুষ্ঠান হয়নি। তাই এবারের উৎসবকে ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে লালন অনুসারী, ভক্ত আর দর্শনার্থীদের মধ্যে।
বাউল সম্রাট লালন শাহ তার জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার এ আখড়াবাড়িতে প্রতি বছর চৈত্রের দৌলপূর্ণিমার রাতে বাউলদের নিয়ে সাধুসঙ্গ উৎসব করতেন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার মৃত্যুর পরও এ উৎসব চালিয়ে আসছেন তার অনুসারীরা।
এবারও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এ লালন স্মরণোৎসবের আয়োজন করেছে। এরই মধ্যে আধ্যাত্মিক গুরু ফকির লালনকে স্মরণ ও নিজেকে চিনে সোনার মানুষ হতে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার লালন অনুসারী, ভক্ত আর দর্শনার্থীরা এখন আখড়াবাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।
অন্যদিকে আখড়াবাড়ি চত্বরে কালী নদীর তীরে মাঠে জমে উঠেছে লালন মেলা। উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সিসি টিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ারসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। লালন উৎসব শেষ হবে আগামী ১৭ মার্চ রাতে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
এসআই
