ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

চাকরি ছেড়েছি, গান নিয়েই থাকতে চাই: ঋতুরাজ

নাজমুল আহসান তালুকদার, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২২
চাকরি ছেড়েছি, গান নিয়েই থাকতে চাই: ঋতুরাজ ঋতুরাজ

ঢাকা: পহেলা বৈশাখে প্রকাশিত কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় গান ‘বুলবুলি’ বেশ প্রশংসিত হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গানটি গেয়ে আলোচনায় এসেছেন ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ তারকা ঋতুরাজ।

 

শৈশবে মায়ের কাছে গানের হাতেখড়ি ঝাঁকড়া-কোঁকড়া চুলের এই গায়কের। ২০১২ সালে সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ ওয়ান’-এ অংশ নিয়ে বেশ পরিচিত পান। মাঝে দীর্ঘদিন চাকরির কারণে গান থেকে দূরে ছিলেন তিনি; কিন্তু বিরতি ভেঙে আবারো সরব হয়েছেন এই কণ্ঠশিল্পী।  

সম্প্রতি বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে আগামী দিনগুলোতে গান নিয়েই থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ঋতুরাজ। একই সঙ্গে জানান, ছেড়ে দিয়েছেন চাকরিও।

কোক স্টুডিও বাংলার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে ঋতুরাজ বলেন, ‘‘গিটারিস্ট শুভেন্দু দাশ শুভ ‘বুলবুলি’র সুর কম্পোজিশন ও সংগীতায়োজন করেছেন। গত বছর একটি লাইভ অনুষ্ঠান শেষে তিনি আমাকে এই গানটা গাইতে বলেন। গানটি শুনে তিনি পরেরদিন শায়ান চৌধুরী অর্ণব দা’র বাসায় যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর অর্ণব দা গানটি শোনেন। সেদিন তেমন আলাপ হয়নি। একদিন হুট করেই জানানো হয় আমি কোক স্টুডিওতে গাওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছি!’’

‘বুলবুলি’ গানটির রেকর্ডিং এবং শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ঋতুরাজ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গান নিয়ে কোক স্টুডিও মতো বড় প্রজেক্ট হচ্ছে এটা অকল্পনীয় ছিল। বিরাট কর্মযজ্ঞ, যখন সেটে যাই অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। গানটি লাইভ রেকর্ড করা হয়। শুরুতে একটু ভয় ভয় লাগছিল। তবে অর্ণবদা পুরো গানটির প্রতিটি জায়গায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, এছাড়াও অন্যান্য সহযোগিতা করেছেন। ’ 

গানটি প্রকাশের পর দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়ে তার গায়কী। বিষয়টি কীভাবে উপভোগ করছেন ঋতুরাজ? তা নিয়ে বলেন, ‘মাঝে সাড়ে সাত বছর চাকরি করেছি। এখন মনে হচ্ছে ওই সময়টাও কেনো সংগীতের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না! কারণ মানুষের কমেন্ট আমি পড়েছি। তারা যে এতদিন পরেও আমাকে মনে রেখেছেন, বিষয়টি খুবই আনন্দদায়ক। ’ 

আগামীদিনগুলো গান নিয়েই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন ঋতুরাজ। তিনি বলেন, ‘‘এখন থেকে নিয়মিত আমাকে পাওয়া যাবে। যেহেতু চাকরি ছেড়ে দিয়েছি, গান নিয়েই বাকিটা জীবন থাকতে চাই। গান গেয়েই যাতে দুটো ভাত খেতে পারি। ইতোমধ্যেই কয়েকটি প্রজেক্টে হাত দিয়েছি। হয়তো ‘বুলবুলি’ গানটির মতো এতো ভালো হবে না। তবে যতটা ভালো করা যায়, সেই চেষ্টাই করবো। ’’ 

শ্রোতাদের মন জয় করলেও এখনও গানে তালিম নেওয়া ছাড়েননি ঋতুরাজ। তার ভাষ্যে বলেন, ‘ছোট বেলায় আমার মায়ের কাছেই গান শেখা শুরু। মায়ের কাছেই বেশি শিখেছি। এখনও গান শেখার চর্চা অব্যাহত রেখেছি। ২০১৮ সাল থেকে ওস্তাদ আচার্য জয়ন্ত বোসের কাছে ধ্রুপদী শেখা শুরু করেছি। এটা এখনও চলছে। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২২
এনএটি/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।