ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

সত্যজিৎ রায়ের প্রামাণ্যচিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও টিভি প্রযোজনা

মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, মে ২, ২০২২
সত্যজিৎ রায়ের প্রামাণ্যচিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও টিভি প্রযোজনা

ঢাকা: উপমহাদেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় ১৯২১ সালের আজকের এই দিনে (২ মে) কলকাতায় জন্ম নেন।  

সত্যজিৎ রায় পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্রের সঙ্গে তিনি নির্মাণ করেছিলেন প্রামাণ্যচিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও টিভির জন্য কিছু ভিডিও।

আজ পাঠকদের জন্য এসব কাজের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরা হলো-

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৬১)
সত্যজিতের বয়স তখন ১০ বছর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তিনি প্রথম দেখেছিলেন শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায়। ১৯৪০ সালে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় হলো, অনেকটা মায়ের পীড়াপীড়িতেই শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন সত্যজিৎ রায়। তবে শান্তিনিকেতনে গিয়ে সত্যজিৎ প্রাচ্যের শিল্প মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে সক্ষম হন। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর প্ররোচনায় তিনি সত্যজিৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। সত্যজিতের মতে এই প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাণকাজ বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল, কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভিডিওচিত্রের অভাবে মূলত স্থিরচিত্র দিয়েই ছবিটির কাজ শেষ করতে হয়, যে জন্য লেগে যায় সাধারণ নির্মাণের থেকে তিনগুণ বেশি সময়।

ইংরেজি ভাষায় নির্মিত এই তথ্যচিত্রের ধারাবর্ণনা দেন সত্যজিৎ রায় নিজেই। চিত্রনাট্যও লেখেন তিনি নিজেই। তথ্যচিত্রের সংগীত পরিচালনা করেন জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র ও বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করেন রায়া চ্যাটার্জি, শোভনলাল গাঙ্গুলি, স্মরণ ঘোষাল, পূর্ণেন্দু মুখার্জি, কল্লোল বোস, সুবীর বোস, ফণী নান, নরম্যান এলিস।
ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি সেরা তথ্যচিত্র হিসেবে এটি জয় করে প্রেসিডেন্টস গোল্ড মেডেল। এছাড়া দেশ-বিদেশে আরও অনেক পুরস্কার ও প্রশংসা পায় তথ্যচিত্রটি।

টু (১৯৬৫)
টু একটি সাদা-কালো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র যেটি সত্যজিৎ রায় নির্মাণ করেন ১৯৬৪ সালে। আমেরিকান টিভি পিবিএস-এর অনুরোধে ইএসএসও ওয়ার্ল্ড থিয়েটারের ব্যানারে চলচ্চিত্রটি ভারতবর্ষের স্বল্পদৈর্ঘ্য ট্রিলজির একটি চলচ্চিত্র হিসেবে নির্মিত হয়। এই ট্রিলজির অন্য দুটি চলচ্চিত্র ছিল পণ্ডিত রবিশংকর ও মুম্বাইভিত্তিক ব্যালে নৃত্যের গ্রুপের উপর। সত্যজিৎ রায়ের প্রতি অনুরোধ ছিল চলচ্চিত্রটি যাতে ১৬ মিলিমিটার ফিল্মে ইংরেজি ভাষায় নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ভারতের প্রেক্ষাপটে ইংরেজি সংলাপে চলচ্চিত্র নির্মাণে সত্যজিতের মন সায় না দেওয়ায় তিনি একটি নির্বাক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। শিল্পী হিসেবে দুইটি শিশুচরিত্রকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটির কাজ মাত্র তিনদিনের মধ্যে শেষ করেন সত্যজিৎ। স্বল্প সময়ের কারণে দুই শিশুচরিত্রকে ছবির আগের তাদের নিজ চরিত্র বলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। শুটিং স্পটে এসে পরিচালকের আদেশ মত অভিনয়ের দ্বারা চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ শেষ হয়। চলচ্চিত্রটিতে একটি ধনী ও একটি গরীব শিশুর তাদের নিজ নিজ খেলনা দিয়ে পাল্লার গল্পকে দেখানো হয়েছে।

সিকিম (১৯৭১)
১৯৭৫ সাল পর্যন্ত হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সিকিম একটি স্বতন্ত্র একটি দেশ ছিল। সে সময় সিকিমের শাসকের ইচ্ছানুযায়ী সত্যজিৎ রায় নির্মাণ করেছিলেন একটি প্রামাণ্যচিত্র যার নাম ‘সিকিম’। সত্যজিৎ রায়ের এক জ্ঞাতি ভাইয়ের মাধ্যমে সিকিমের রাজা নামগিয়াল ও তার আমেরিকান স্ত্রী হোপ কুকের সঙ্গে রায়ের পরিচয় হয় এবং সেই সুবাদে ‘সিকিম’ ছবির কাজ শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে সিকিমে সংঘটিত হয় বড় ধরনের দাঙ্গা। যার ফলে সিকিম ভারতের মুখাপেক্ষী হয় সাহায্যের জন্য। সিকিমের মহারাজাও তখন জনপ্রিয়তা হারাতে থাকেন। ১৯৭৫-এ ভারতের জাতীয় সংসদে সিকিমকে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব জানানো হয় এবং সে বছরের ১৫ মে সিকিম ভারতের বাইশতম অঙ্গরাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।

রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের কারণে তৎকালীন ভারতীয় সরকার ‘সিকিম’ ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। প্রায় ৪০ বছর ভারতে ছবিটি নিষিদ্ধ থাকার পর এই নিষেধাজ্ঞা ওঠে ২০১০ সালে। সিকিম ছবিটিতে সে অঞ্চলের সৌন্দর্যের পাশাপাশি ফুটে উঠেছে সেখানের মানুষের জীবনযাত্রা। এছাড়াও সে সময়কার সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানের বর্ণনাও পাওয়া যায় এতে।


দ্য ইনার আই (১৯৭২)
প্রথম জীবনে বিরস মনেই শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পরবর্তীকালের সত্যজিৎ রায় স্বীকার করেন যে, সেখানকার বিখ্যাত চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসু এবং বিনোদ বিহারী মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছিলেন। সত্যজিৎ রায় বিনোদ বিহারীর ওপর পরবর্তীকালে একটি প্রামাণ্যচিত্রও বানান যার নাম দেন দ্য ইনার আই।  
১৯১৯ সালে শিল্পী-কবি বিনোদ বিহারী মুখোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনের কলাভবনে শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হন। তিনি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নন্দলাল বসুর প্রিয় শিষ্য ছিলেন। বিনোদ বিহারী জন্মের সময় থেকেই চোখের গভীর সমস্যা নিয়ে জন্মেছিলেন। এক চোখে ছিল ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি বা মাইয়োপিয়া আর অন্য চোখে তিনি কিছুই দেখতে পেতেন না বা সেই চোখে ছিলেন অন্ধ। ১৯৫৬ সালে একটি চোখে ছানি কাটাতে গিয়ে চিকিৎসা-বিভ্রাটের কারণে তিনি সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যান। ছানির চিকিৎসা-বিভ্রাটের পরে অন্ধ হয়েও তিনি ছবি এঁকেছেন, করেছেন ভাস্কর্য, কাগজ কেটে ছবি বসানো এবং টালি দিয়ে ম্যুরালের কাজ করে গিয়েছেন। শেষ জীবনে সম্পূর্ণ নির্জনবাস করেছেন। তার বিখ্যাত কাজের মধ্যে রয়েছে ১৯৪৭ সালে করা শান্তিনিকেতনের হিন্দি ভবন এর দেয়ালের ম্যুরাল। বিনোদ বিহারীর জীবন, কাজ আর অন্ধত্ব কে জয় করে বেঁচে থাকা নিয়ে মূলত ‘দ্য ইনার আই’।  

বালা (১৯৭৬)
ভারতীয় ভরতনাট্যমশিল্পী বালাস্বরস্বতীর জীবনীর উপরে ১৯৭৬ সালে সত্যজিৎ রায় নির্মাণ করেন একটি প্রামাণ্যচিত্র, যার নাম দেন ‘বালা’। চলচ্চিত্রটির ধারাবর্ণনা করেছেন সত্যজিৎ রায় নিজেই। সত্যজিৎ রায় তার চৌদ্দ বছর বয়সে প্রথম বালাসরস্বতীর নৃত্য পরিবেশনা দেখেন। এই শিল্পীর ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে, ১৯৬৬ সালে তখন তার উপর প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু বালাস্বরস্বতীর পৌড়ে ৫৮ বছর বয়সে সত্যজিৎ রায় তার উপর প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করতে সক্ষম হন। ছবিটি শুরু হয় ভরতনাট্যম নাচের ইতিহাস আলোচনার মাধ্যমে। ছবিটিতে রয়েছে বালাস্বরস্বতীর বিভিন্ন নৃত্য পরিবেশনা। তাঁর বিভিন্ন নাচের মুদ্রা ও বালার চর্চা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন প্রখ্যাত সংস্কৃতি ও সঙ্গীত গবেষক উদয় শঙ্কর।  

পিকু (১৯৮০)
সত্যজিৎ রায়ের নিজের লেখা গল্প ‘পিকুর ডায়েরি’ অবলম্বনে তিনি নির্মাণ করেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘পিকু’। ১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অর্জুন গুহঠাকুরতা। চলচ্চিত্রটিতে একটি শিশুর চোখ দিয়ে বাঙ্গালী সমাজের ভেতরের অবক্ষয় ও হাহাকারকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পশ্চিমা আদলে গড়া ভারতবর্ষের সমাজের পারিবারিক সম্পর্কগুলো কেমন ঠুনকো ও অবিশ্বাসে ঘেরা হয়ে উঠছে তারই স্বরূপচিত্র আমরা দেখতে পাই পিকু ছবিতে। মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক শিশুর চোখ দিয়ে দেখিয়ে পরিচালক সমাজের কিছু চরিত্রের প্রতি অঙ্গুলিনির্দেশ করেছেন।  

ফ্রান্সের এক টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারের জন্য নির্মিত এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন অপর্ণা সেন ও ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়।

সদগতি (১৯৮১)
মুন্সি প্রেমচাঁদ-এর একটি গল্প অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় প্রথমে নির্মাণ করেন উর্দু চলচ্চিত্র ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’। তারই কয়েক বছর পর ১৯৮১ সালে প্রেমচাঁদের আরেকটি গল্প থেকে ‘সদগতি’ নামের আরেকটি চলচ্চিত্র বানান যা মূলত দূরদর্শন টেলিভিশনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। চলচ্চিত্রটিতে ভারতের বিদ্যমান অস্পৃশ্যতার রূঢ় বাস্তবতাকে তুলে ধরা হয়।  
হিন্দি ‘সদগতি’ মানে উদ্ধার, পরিত্রাণ। নিচুজাত সুখিয়ার বর্ণপ্রথা থেকে মুক্তি মেলে মৃত্যুর মাধ্যমে। মাত্র জ্বর থেকে উঠে সুখিয়া তার মেয়ের বিয়ের রসম পালন করাতে সে এলাকার ব্রাহ্মণকে তার গৃহে আনার জন্য ব্রাহ্মণের গৃহে যান। রসম পালনের এই প্রস্তাব জানালে সুযোগ বুঝে ব্রাহ্মণ সুখিয়াকে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করিয়ে নেয়। সকাল থেকে না খাওয়া শরীর নিয়ে শক্ত কাঠের গুঁড়ি কেটে লাকড়ি বানাতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারায় সুখিয়া। অচ্ছুত সম্প্রদায়ের প্রতি নির্মমতার চূড়ান্ত চিত্রটি দেখা যায় শেষ দৃশ্যে যখন ব্রাহ্মণ তার বাড়ির স্থানকে পবিত্র করতে মৃত সুখিয়াকে পায়ে রশি বেঁধে টেনে নদীর পাড়ে ফেলে দিয়ে আসে ও পরে সে স্থানটিকে মন্ত্র পড়ে পবিত্র করে। সত্যজিৎ রায় তার অন্য কোন ছবিতে ব্রাহ্মণসমাজকে এভাবে খোলামেলাভাবে দেখাননি। চলচ্চিত্রটিতে ওমপুরি, স্মিতা পাতিলের অনবদ্য অভিনয় যে কারো মনে দাগ কাটতে বাধ্য।

সুকুমার রায় (১৯৮৭)
সত্যজিৎ রায়ের পিতা সুকুমার রায়ের কর্ম ও জীবনকে দর্শকদের কাছে তুলে ধরতে ১৯৮৭ সালে তিনি একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। প্রামাণ্যচিত্রটিতে দেখানো হয়েছে সুকুমার রায়ের পিতা বিখ্যাত বাঙালি শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পারিবারিক বর্ণনা থেকে শুরু করে সুকুমার রায়ের বাংলা ননসেন্স রাইমের প্রবর্তক হয়ে ওঠা থেকে গুণী এই মানুষটির মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সব ঘটনা। সন্দীপ রায়ের লেখা কবিতার বই আবোল তাবোল, গল্প হ-য-ব-র-ল, গল্প সংকলন পাগলা দাশু, এবং নাটক চলচ্চিত্রচঞ্চরীর সাহিত্যমানের দিক দিয়ে সাথে কেবল অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ডসহ কিছু মুষ্টিমেয় পশ্চিমা ক্লাসিকের সাথেই তুলনা করা যায়। সত্যজিৎ রায়ের জন্মের বছর অর্থাৎ ১৯২১ সালে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কালাজ্বরে আক্রান্ত হন সুকুমার রায়। প্রায় দুই বছর এই রোগে ভুগে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে ১৯২৩ সালে মারা যান সুকুমার রায়। পিতার মৃত্যুকালে সত্যজিতের বয়স মাত্র দুই। তথ্যচিত্রটির মাধ্যমে যেন সত্যজিৎ রায় নিজের বাবাকে খুঁজে ফিরেছিলেন।  

সুকুমার রায়ের জন্মশতবার্ষিকীতে এই তথ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বাবার জীবন ও কর্ম নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রটির চিত্রনাট্য ও সঙ্গীত করেছিলেন সত্যজিৎ রায় নিজেই। আর এই কাজে নেপথ্য কণ্ঠ দিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। অনবদ্য এই নির্মাণটির আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল অভিনেতার অভিনয়ের মাধ্যমে সুকুমার রায় সৃষ্ট চরিত্র ও গল্পগুলো ফুটিয়ে তোলা। এসব চরিত্রে পর্দায় উপস্থিত হন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত, সন্তোষ দত্ত ও তপেন চ্যাটার্জি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২২
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।