হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ ও তার সাবেক স্ত্রী আম্বার হার্ড একের পর এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন। দুজন দুজনের নামে দায়ের করা অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে।
আদালতে নিজের অভিযোগের পক্ষে সাফাই গাইছেন আম্বার। অন্যদিকে ৫০ লাখ ডলার খরচ করে আম্বারের নামে মানহানির মামলা করেছেন জনি ডেপ। জনির করা মামলার শুনানি চলছে ভার্জিনিয়ার আদালতে। সেখানেও উঠে আসছে পারস্পরিক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।
জনি ডেপের প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বারের অভিযোগ, হানিমুনের সময়ই তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন জনি। এমনকি, মাদকাসক্ত জনি সিগারেটের ছ্যাঁকা দিতেন অ্যাম্বারের গায়ে।
এক সময় নিবিড় ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল জনি ডেপ আর অ্যাম্বারের। সে কথা মনে করে ডুকরে কেঁদে ওঠেন অ্যাম্বার। তিনি বলেছেন, ভাবতে পারছেন না, সব কিছু এভাবে শেষ হয়ে যাবে! তিনি আজও ভালোবাসেন জনিকে, কিন্তু তিক্ততা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, কিছুই আর ঠিক হওয়ার নয়।
শুনানি থেকে স্পষ্ট, ২০১৭ সালে বিচ্ছেদ হলেও দু’জনের মধ্যে অশান্তি চরমে উঠেছিল ২০১৫ সালের পর থেকে। তবে এখনও ছোঁড়াছুড়ি শেষ হয়নি।
আদালতে অ্যাম্বার জানান, তিনি যে এতোদিন বেঁচে আছেন, সেটাই আশ্চর্য। ২০১৫ সালে মধুচন্দ্রিমা সফরে মৃত্যুভয় প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি। জনি নাকি তাকে ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেসের মধ্যেই গলা টিপে ধরেছিলেন। এছাড়া ঘাড় ধরে ফেলে দিতে গিয়েছিলেন চলন্ত ট্রেন থেকেও।
অ্যাম্বারের অভিযোগ, জনি তার ওপর সমস্ত রকম অত্যাচার করতেন। সেই সঙ্গে জনিকে মাদকাসক্ত এবং স্বেচ্ছাচারী হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
যদিও অ্যাম্বারের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জনি। তার আইনজীবীদের পাল্টা অভিযোগ, অ্যাম্বার জনিকে হেনস্থা করেছেন। শয্যায় মলত্যাগ করাসহ নানাভাবে অভিনেতার মান নষ্ট করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
এনএটি