ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হলেন প্রয়াত নায়িকার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। মঙ্গলবার (১৭ মে) অভিনেত্রীর সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কলকাতার হাওড়ার জগাছা থানা এলাকার বিবেকভিলের বাসিন্দা সাগ্নিক। বিগত কয়েক বছর ধরে প্রেমিকা পল্লবী দে’র সঙ্গে গড়ফার ফ্ল্যাটেই লিভ ইন করতেন। রোববার তিনিই প্রথম পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সাগ্নিক জানান, সিগারেট খেতে বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পল্লবীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনার পর সাগ্নিককে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তার ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়। শোনা গেছে, সাগ্নিকের বিয়ে হয়েছিল। আর সেই রেজিস্ট্রিতে নাকি পল্লবীর সইও ছিল।
সাগ্নিকের বন্ধুদের কথায়, দুই বছর আগে সুকন্যা নামের একটি মেয়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি হয়েছিল সাগ্নিকের। কাগজে-কলমে আগের বিয়ে হয়তো ভাঙেনি এখনও। যে কারণে পল্লবীকে বিয়ে করতে পারছিলেন না সাগ্নিক।
পরে আবার শোনা যায়, পল্লবীর টাকাতে দামি গাড়ি কিনেছিল সাগ্নিক। নিউটাউনে ৮০ লাখ রুপির ফ্ল্যাট কেনার কথাও শোনা গেছে। সাগ্নিক এবং তার বান্ধবীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পল্লবীর পরিবার। খুনের পাশাপাশি আর্থিক প্রতারণারও অভিযোগ আনা হয় সাগ্নিকের বিরুদ্ধে।
নিউটাউনের ফ্ল্যাট সাগ্নিক ও তার বাবার নামে থাকলেও সেই ফ্ল্যাটের জন্য নাকি পল্লবীর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৬ লাখ রুপি ট্রান্সফার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এ বিষয়ে সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাকে।
খুব বেশি কাজ করেননি পল্লবী ‘মন মানে না’ নামের একটি ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তিনি। এর আগে ‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকে লুৎফা-র চরিত্রে অভিনয় করে প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। ‘রেশম ঝাঁপি’ ধারাবাহিকেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন এই অভিনেত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
এনএটি