আলোচিত ২০০ কোটি রুপি আর্থিক প্রতারণার মামলার আসামী সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় তার ওপর নজরদারি শুরু হয় ভারতীয় প্রশাসনের। এরপর তার বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আসে।
তবে শনিবার (২৮ মে) দিল্লির একটি আদালত কয়কেটি শর্ত সাপেক্ষে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছেন জ্যাকুলিনকে।
আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রবীণ সিং বলেন- ‘তথ্য ও পরিস্থিতি বিবেচনায় জ্যাকুলিনের আবেদন মঞ্জুর করা হলো। আবেদনকারীকে ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করার অনুমতি দেওয়া হলো। এ সময়ে তার বিরুদ্ধে জারি করা এলওসি স্থগিত থাকবে। ’
দেশে ফেরার নিশ্চয়তার কারণে বিদেশ ভ্রমণের আগে জ্যাকুলিনকে ৫০ লাখ রুপি জমা রাখতে বলেছেন আদালত। শর্ত আরোপের বিষয়ে আদালত বলেন, ‘আবেদনকারীকে অঙ্গীকারনামাসহ ৫০ লাখ রুপির এফডিআর জমা দিতে হবে। যদি আবেদনকারী দেশে না ফেরেন, তাহলে এই অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না। তাছাড়া আবেদনকারীকে ভ্রমণের সব কাগজপত্র ও ফোন নম্বর জমা দিতে হবে। দেশে ফেরার পর তদন্তকারী সংস্থাকে বিষয়টি জানাতে হবে। ’
সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি রুপির একটি অর্থপাচার মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনি প্রতারণা করে কোটি কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তদন্ত সংস্থাটি মানি লন্ডারিং মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখর এবং অন্যদের বিরুদ্ধে দিল্লির একটি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। অভিযোগ করেছে, সুকেশ তিহার জেলে থাকা অবস্থায় একজন ব্যবসায়ীর স্ত্রীর কাছ থেকে ২০০ কোটি রুপি চাঁদাবাজি করেছেন। চন্দ্রশেখর জ্যাকুলিনকে অর্থ দিয়েছেন। আর্থিক লেনদেনের প্রমাণও পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
জানা গেছে, সুকেশ চন্দ্রশেখর স্বীকার করেছেন, জ্যাকুলিনকে ৫২ কোটি রুপির একটি ঘোড়া উপহার দিয়েছিলেন তিনি। এই অভিনেত্রী বিড়াল পছন্দ করেন। এ জন্য তাকে ৯ লাখ রুপির বিড়ালও উপহার দেন সুকেশ। তিহার জেল থেকে জ্যাকলিনকে ফোন করতেন তিনি। চকোলেট, ফুলের তোড়াও পাঠাতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
এনএটি
