বরাবরই নিজেকে গড়েছেন আবার ভেঙেছেন। গ্ল্যামার লুকের বাইরে নেটফ্লিক্সের পোস্টার গার্ল কিংবা সাহসী চরিত্রের অভিনেত্রী হিসেবে নামডাক যথেষ্ট রয়েছে রাধিকা আপ্তের।
তার কথায়, মুম্বাইয়ের দমবন্ধ করা পরিবেশে অস্বস্তি হয় তার। বলিউডের সহকর্মীরা সবাই প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজেদের মুখ ও শরীর বদলাতে ব্যস্ত। ইন্ড্রাস্টি যেন কৃত্রিম সৌন্দর্যের দাস হয়ে গেছে।
সব দেখে ক্লান্ত বোধ করেন ছত্রিশ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রাধিকা বলেছেন, বয়স তো বাড়বেই। তাই বলে ত্বকের ভাঁজ ঢাকতে একাধিক অস্ত্রোপচার করে যাবো কেন? স্বাভাবিক ত্বক কি এতটাই ঘৃণ্য? বিষয়টি নিয়ে কেউ একবারও প্রতিবাদ করে না। বলে না, এটা ভুল। আক্ষেপই যেন ঝরে পড়ে আন্ধাধুন অভিনেত্রীর। তাই কাজের প্রয়োজনে যতটুকু দরকার, মুম্বাইয়ের সঙ্গে ততটুকুই সংযোগ রাধিকার।
পেশাগত জীবনের আসল চ্যালেঞ্জ হলো প্রত্যাখ্যানের ধাক্কা সামলে নিতে শেখা, যা তিনি পেরেছেন।
২০০৫ সালে ‘বাহ্, লাইফ হো তো অ্যায়সি!’ সিনেমায় একটি ছোট্ট ভূমিকায় অভিনয় করে বলিউডে অভিষেক রাধিকার। তারপর কেটে গেছে ১৭ বছর। এখনো বয়স যতই বাড়ুক, তার আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
এনএসআর