উপার্জনের হিসেবে বর্তমানে বলিউডের শীর্ষস্থানীয় নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। শুধু সিনেমা ছাড়াও বহুভাবেই আয় করেন সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরী।
সমাজকল্যাণমূলক বহু কাজের সঙ্গেও জড়িত ঐশ্বরিয়া। কন্যা আরাধ্যার সঙ্গে এই ধরনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে দেখা গেছে তাকে।
ব্যবসার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে থাকেননি এই অভিনেত্রী। বেঙ্গালুরুর একটি স্টার্টআপ সংস্থার জন্য তিনি এক কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছেন। এই সংস্থাটি এমন একটি পদ্ধতি চালু করেছে, যেখানে পরিবেশগত বিভিন্ন উপাদান পরিমাপ করা হয়। এছাড়াও পুষ্টিকর উপাদান প্রস্তুতকারী এক স্টার্টআপ সংস্থার জন্য ৫ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছেন ঐশ্বরিয়া।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের একটি বায়ুশক্তি প্রকল্পের জন্য কয়েক বছর আগে বিপুল অর্থদান করেছিলেন ঐশ্বরিয়া। এসব সংস্থা থেকে ঐশ্বরিয়া নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থও পান।
বলিউডের অন্দরের খবর, এই মুহূর্তে অমিতাভ বচ্চনের পুত্রবধূ সিনেমা প্রতি ১০ থেকে ১২ কোটি রুপি উপার্জন করেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন শুট করে তিনি ভারতীয় মুদ্রায় ৮০ থেকে ৯০ কোটি রুপি পান।
‘লাক্স’ সাবানের বিজ্ঞাপন ইতোমধ্যেই ভক্তদের মন কেড়েছেন ঐশ্বরিয়া। এছাড়াও বিভিন্ন প্রসাধনী, গয়না ও ঘড়ির নামকরা ব্র্যান্ডের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের চুক্তি করেছেন ঐশ্বরিয়া। সেখান থেকেও বিপুল পরিমানে আয় করেন তিনি।
শুধু বলিউড নয়, দক্ষিণী সিনেমাতে তাকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে। হলিউডেও যথেষ্ট সমাদর পেয়েছেন তিনি। তবে, বিজ্ঞাপন শুটিং এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগের মাধ্যমেই তিনি অধিক মাত্রায় অর্থ উপার্জন করেন।
মুম্বাইয়ের ‘জলসা’তে বচ্চন পরিবারের সবাই একসঙ্গেই থাকেন। তবে, জুনিয়র বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়া দু’জন মিলে দুবাইয়ে প্রাসাদের মতো একটি ভিলা কিনেছেন। এছাড়াও, মুম্বাইয়ে বান্দ্রার কাছে এই দম্পতি ২১ কোটি রুপি খরচ করে একটি আবাসন কিনেছেন।
দামি গাড়ি কেনার শখও আছে ঐশ্বরিয়ার। তার বাড়ির গ্যারাজে সারি করে দাঁড়িয়ে থাকে বিলাসবহুল গাড়ি। এর মধ্যে মার্সিডিজ বেঞ্জ, অডি, লেক্সাসের মতো দামি গাড়িও রয়েছে।
২০০৪ সালে ‘ঐশ্বরিয়া রাই ফাউন্ডেশন’ চালু করেন তিনি। এর উদ্দেশ্য, ভারতের দুঃস্থ, বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলের দরিদ্রদের আর্থিক সাহায্য প্রদান।
বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ঐশ্বরিয়া ভারতের সবচেয়ে বেশি আয়কর প্রদানকারীদের মধ্যেও একজন। জানা গেছে, ঐশ্বরিয়ার সম্পদের পরিমাণ ৭৭৬ কোটি রুপি।
ঐশ্বরিয়াকে শেষবার ‘ফ্যানি খান’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় দেখা গিয়েছিল। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি নির্মাণ করেন অতুল মাঞ্জরেকার। এতে ঐশ্বরিয়ার সহ-অভিনেতা ছিলেন রাজকুমার রাও এবং অনিল কাপুর।
শিগগিরই ঐশ্বরিয়াকে মণি রত্নম পরিচালিত ‘পন্নিইন সেলভান’ সিনেমায় দেখা যাবে। এতে দ্বৈত চরিত্রে (নন্দিনী ও মন্দাকিনী দেবী) অভিনয় করছেন তিনি। ঐশ্বরিয়া ছাড়াও সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করছেন বিক্রম কার্তি, ত্রিশা কৃষ্ণন, প্রকাশ রাজ, জয়রামসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
এনএটি