টানা চার দশকেরও বেশি সময় ভারতীয় সংগীতের শ্রোতাদের মাতিয়ে রেখেছিলেন কিশোর কুমার। আজও তার আবেদন একইরকম।
১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়াতে জন্ম কিশোর কুমারের। আর ১৯৮৭ সালের আজকের দিনে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিরবিদায় নেন কালজয়ী এই শিল্পী। তবে ভক্ত হৃদয়ে বেঁচে আছেন ও থাকবেন অনন্তকাল।
শাস্ত্রীয় সংগীতের তথাকথিত তালিম না থাকা সত্ত্বেও সুরের আকাশে খুব তাড়াতাড়িই উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠেছিলেন কিশোর কুমার। তাকে মেলেডি কিংও বলা হতো।
প্রেমের গান হোক বা বিরহের গান কিংবা পার্টি সং সব গানেই কিশোর কুমার ছিলেন অনবদ্য। তাই এই গায়কের মৃত্যুর তিন দশকের বেশি সময় পরেও তিনি সমান জনপ্রিয়।
বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটি, মালয়ালাম, উর্দু, ভোজপুরিসহ বিভিন্ন ভাষার গান গেয়েছেন বরেণ্য এই শিল্পী। গানের জন্য সর্বাধিক ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পাওয়ার রেকর্ডসহ তার ঝুলিতে রয়েছে বহু সম্মাননা। মধ্যপ্রদেশে কিশোর কুমারের নামে প্রবর্তন করা হয় ‘কিশোর কুমার পুরস্কার’।
শুধুমাত্র গান নয়, অভিনয়েও তার অবদান অস্বীকার্য। ১৯৪৬ সালে ‘শিকারী’ সিনেমার মধ্য দিয়ে তার অভিনয় শুরু। পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে কমেডি চলচ্চিত্রের নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
কিশোর কুমারের অভিনয়, গানের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবনও বারবার উঠে এসেছে আলোচনায়। রুমা গুহ ঠাকুরতা, মধুবালা, যোগিতা বালি, লীনা চন্দ্রভরকর- চারবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। বারবারই তার ব্যক্তিগত জীবন উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে।
শুধুমাত্র বিবাহিত জীবনই নয়, সবকিছু মিলিয়েই কিশোর কুমার ছিলেন রঙিন চরিত্রে। তাকে ঘিরে রয়েছে হাজারও মজাদার গল্প। হাফ পেমেন্ট পেয়ে সিনেমার জন্য হাফ মেকআপ করা, নিজের বাড়ির বাইরের কার্ডে লিখে রাখা ‘কিশোর হইতে সাবধান’, কখনো বা বলিষ্ঠ রাজনৈতিক সচেতনতা তাকে তুলে এনেছে খবরের শিরোনামে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
এনএটি