তারা হলেন আব্বাস আলী, খোরশেদ মিয়া ও হারুণ মিয়া। তাদের বাড়ি কমলগঞ্জ উপজেলায়।
এদিকে শুয়ে থাকা অবস্থাতেই মাঝে মাঝে খাবার খাচ্ছে রাজলক্ষ্মী। শুঁড় দিয়ে খাবার খুঁজতে থাকলেই নাইওর মিয়া বুঝে যান – তাদের প্রিয় রাজলক্ষ্মীর এখন ইচ্ছে করছে খাবার খেতে। এক মুহূর্ত দেরি না করে মুখের মধ্যে গুজে দেন খাবার।
সকালে হঠাৎ করে বর্ষণও হয়ে গেছে। ভিজে গেছে ছোট্ট মাঠের চারদিক। আগেভাগেই ত্রিপল টাঙানো হয়েছে। বৃষ্টিধারা যেন রাজলক্ষ্মীকে যন্ত্রণা না দিতে পারে। ফলে বৃষ্টির ছাট লাগেনি হাতিটির শরীরে।
৫/৬ দিন ধরে পড়ে থাকতে থাকতে তার পেটে গ্যাস জমে গেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুল ইসলামও এই কথা বলেছেন।
রাজলক্ষ্মীর আরামের জন্য জমে থাকা মল অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পায়ুপথ দিয়ে বের করে নিয়ে আসেন নাইওর মিয়া। তাতে বেশ স্বস্তিবোধ করে রাজলক্ষ্মী। তবে তার শরীরে মাছি বসলে শুঁড় দিয়ে সেই মাছি তাড়াবার চেষ্টা করে যায় সে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ৯টায় সরেজমিন গিয়ে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।
নাইওর মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, গত দু’দিন ধরে রাজলক্ষ্মীর অবস্থা কিছুটা ভাল। আমরা কয়েকজন এর সেবায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছি। আগে তো খাবারই খেতো না। বুধবার সন্ধ্যা থেকে খাবারের প্রতি তার আগ্রহ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সোনা ৯টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) তবিবুর রহমান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গৃহপালিত হাতিই হোক বা বন্যহাতি হোক - আমাদের সবার দায়িত্ব তাকে সুস্থ করে তোলা। আমি সর্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে যাচ্ছি।
*সুস্থ হয়ে উঠবে তো ‘রাজলক্ষ্মী’?
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
আরআই