ঢাকা: ছোট হোক বা বড়। বন্ধুত্ব শব্দটির অর্থ বুঝতে কারোরই ভুল হয় না কখনও।
সেরকমই একটি বন্ধুত্বের গল্প আমরা জানবো। যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে হাসপাতালে। ফুলের মতো ছোট্ট দু’টি মেয়ে লড়াই করছে ক্যান্সারের সঙ্গে। তবে ক্যান্সারকে পরোয়া না করে একে অপরকে যোগাচ্ছে সাহস ও অনুপ্রেরণা।
এভা গার্সিয়া, বয়স মাত্র চার। গত বছর আগস্টে ধরা পড়েছে কিডনি ক্যান্সার। ঠিক একই বছর মে মাসে কঙ্কাল পেশির ক্যান্সার ধরা পড়ে পেনি স্মিথের। শিশু হাসপাতালেই পরিচয় এভা ও পেনির।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে শারীরিক উন্নতির জন্য এভা হাসপাতাল ছাড়লেও পেনির শরীর দিন দিন খারাপ হতে থাকে। পেনির মা সিন্ডি সেগান জানান, পেনির জীবন ঘড়ি চলবে মাত্র আর এক সপ্তাহ।
এদিকে, কেমোথেরাপি নেওয়ার সময় ছোট্ট দুই রাজকন্যার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সপ্তাহে দু’দিন হাসপাতালে কেমোথেরাপি নিতে আসতো তারা। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। আর তারপর একেবারে বেস্ট ফ্রেন্ড!
ওদের হাসপাতালে যাওয়াটা ছিল অনেকটা খেলতে যাওয়ার মতো। পেনি জানতো সেখানে গেলে এভার সঙ্গে কিছুটা ভালো সময় কাটাতে পারবে। তাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াটাও সহজ ছিল, জানান সিন্ডি।
তিনি আরও জানান, কেমোর সঙ্গে সংযুক্ত বিভিন্ন বিষয় যেমন চুল ফেলে দেওয়া, এসব বিষয়েও তারা দু’জন দু’জনকে যোগাতো মানসিক শক্তি ও সাহস।
অন্যদিকে, এভার মা ক্রিস্টিনা গার্সিয়া বলেন, চুল ফেলে দেওয়ার পর এভার কোনো অস্বস্তি হয়নি কারণ, পেনির চুলও ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সত্যিই, সিন্ডি আর পেনি না থাকলে এত সহজে এটা করা সম্ভব হতো না।
তবে দুঃখজনক ঘটনা, পেনির অবস্থার অবনতির পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে মা সিন্ডি তার দেখাশোনা করছেন।
সিন্ডি জানান, ওদের দু’জনের পরিচয় এমন কঠিন বাস্তবের মধ্য দিয়ে হলেও, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অটুট থাকবে এ বন্ধুত্ব।
বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কথা, পাশে তো থাকতেই হবে!
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
এসএস