মানুষের অসাধ্য বলে আসলে কিছু নেই। যুগে যুগে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে মানুষ।
এবার এক জাপানি পর্বতারোহী আরেক অসাধ্য সাধনের কঠিন ব্রতে নেমেছেন। এর আগে তিনবার এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হয় তার।
এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে একবার তো ফ্রস্ট বাইটের শিকার হয়ে দু’হাতের ৯টি আঙুল হারিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে মর্মান্তিক ঘটনাও দমাতে পারেনি তাকে।
এবার একটিমাত্র আঙুল সম্বল করে তিনি এভারেস্ট চূড়া জয় করবার অসম্ভব এক মিশনে নামতে যাচ্ছেন। এই জাপানি পর্বতারোহীর নাম নবুকাজু কুরিকিকি।
কুরিকিকি যদি সত্যিসত্যিই এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখতে সক্ষম হন তাহলে এ-বছর তিনিই হবেন প্রথম এভারেস্টজয়ী। আর এক আঙুলবিশিষ্ট পর্বতারোহী হিসেবে এভারেস্ট জয়ের রেকর্ডটাও হবে একান্ত তারই।
কুরিকিকি শনিবার ৩৩ বছরে পা দিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি ‘ডেথ জোন’ হিসেবে পরিচিত এভারেস্টের দক্ষিণ পাশের একটি স্থানে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন।
ওই জায়গাটা খুবই দুর্গম আর প্রাণ হারানোর ঝুঁকি ও বিপদে ভরা। এখানটায় এসে বেশিরভাগ পর্বতারোহীই ‘ফ্যাটাল অ্যালটিটিউড সিকনেসে’ আক্রান্ত হন।
এখানটায় ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে শুরু হবে এভারেস্ট চূড়া বিজয়ের মরণপণ চূড়ান্ত চেষ্টা। কুরিকিকির নিজের ভাষায়, এটা হবে তার স্বপ্নের আরোহণ বা ‘ড্রিম ক্লাইম্ব’।
২০১২ সালে এভারেস্টের ওয়েস্ট রিজে পৌঁছার চেষ্টাকালে ফ্রস্ট বাইটের শিকার হন কুরিকিকি। খুব কম পর্বতারোহীই পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে আরোহণের ঝুঁকি নিয়ে থাকেন।
এ কারণে এই অংশটা তুলনামূলকভাবে কম বিজিত। কিন্তু বিপজ্জনক আরোহণই কুরিকিকির বেশি পছন্দ। এছাড়া অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহারেও অনীহা তার।
তিনি আরোহণটা নি:সঙ্গ অবস্থায় এবং সবচেয়ে কম সরঞ্জাম ব্যবহার করেই করতে চান।
তার নিজের ভাষায়, এটাই হচ্ছে পর্বতারোহণের সবচেয়ে খাঁটি রূপ। যেহেতু এতে জড়িত থাকে বাড়তি ঝুঁকি ও বিপদ: "This is the purest form of climbing and it is worth the extra danger."
আর হ্যাঁ, কুরিকিকির একটা মহতী ইচ্ছাও আছে। তিনি নেপালিদের এই ঘোর দু:সময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে চান।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
জেএম