ঢাকা: প্রাচীনকালে পেঁয়াজ রোগের প্রাকৃতিক নিরাময়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তখন রক্ত চলাচল বৃদ্ধি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, জ্বর, সর্দি নিরাময়ক ও শরীরকে বিষমুক্ত করার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে পেঁয়াজের প্রলেপ দেওয়া হতো।
রাতারাতি শরীরকে বিষমুক্ত করতে, এমনকি ডায়াবেটিস রোগীদের আরামে পেঁয়াজের প্রলেপ অত্যন্ত সহজ ও সাশ্রয়ী একটি চিকিৎসা। আপনার কাজ শুধু পায়ে পেঁয়াজের প্রলেপ দিয়ে মোজায় পা গলানো পর্যন্ত। এরপর নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ুন। বাকি কাজটি পেঁয়াজ নিজেই করবে।
জেনে নেওয়া যাক এই চিকিৎসার জন্য কী কী প্রয়োজন-
• পেঁয়াজ- একটি (বড়)
• স্বচ্ছ ফয়েল পেপার
• উলের মোজা।
প্রক্রিয়া
রাতে ঘুমানোর আগে পা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে পাতলা গোল গোল করে স্লাইস করুন। এভাবে কয়েক মিনিট রেখে দিন। দেখবেন পেঁয়াজ থেকে রস বেরিয়ে আসছে। এবার পেঁয়াজের স্লাইসগুলো আঙুল বাদে সম্পূর্ণ তালুতে রেখে ফয়েল পেপার দিয়ে পায়ের সঙ্গে ভালোভাবে সংযুক্ত করুন। ফয়েল পেপার ব্যবহার করার কারণ- এতে পেঁয়াজের গন্ধ ছড়াবে না।
এবার মোজা পরে নিন। এক্ষেত্রে পরামর্শ উলের মোজা। কারণ উল বেশি উষ্ণতা দেয়। প্রাচীনকালে পেঁয়াজের প্রলেপ দেওয়ার পর সরাসরি উলের মোজা পরা হতো। মানে তখন ফয়েল পেপার ব্যবহার করা হতো না।
তবে এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয়, যদি পেঁয়াজ আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হয় তাহলে তা ব্যবহার করার আগে অর্থাৎ, স্লাইস করার পর তাতে আমন্ড অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নেবেন। তবে, এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
ভালো ফল পেতে রাতে ঘুমানোর আগে এই প্রলেপটি ব্যবহার করুন। পেঁয়াজের ভেতরের হিলিং প্রপার্টিজ ত্বকের মধ্য দিয়ে আপনার রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করবে ও রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করবে।
পেঁয়াজে রয়েছে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ও শরীর থেকে টক্সিন অপসারণ করে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে পেঁয়াজের প্রলেপ তুলে পা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পা মুছে আবার উলের মোজা পরে নিন।
উপকারিতা
নিয়মিত এ প্রলেপ ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে ও ক্ষুদ্রতম রক্তনালীতেও সঠিকভাবে রক্ত চলাচল করবে। যাদের রক্ত সঞ্চালনে অসুবিধা রয়েছে বা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা এত ভালো ফল পাবেন। এছাড়াও ঠাণ্ডা ও ভাইরাসের আক্রমণ, জ্বর, গলা ও ফুসফুসে প্রদাহজনিত সমস্যা সমাধানে এই চিকিৎসা অত্যন্ত কার্যকরী।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৩ ঘণ্টা, আক্টোবর ০৪, ২০১৫
এসএমএন/এএ