ঢাকা: আশ্বিনের বেলা পড়ে এলো। তবে দেবী দুর্গার বেলা কেবলই শুরু।
সোমবার (১২ অক্টোবর) ছিলো মহালয়া। সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, মহালয়াতে পূর্ব-পুরুষদের আত্মার প্রশান্তি কামনা করে অঞ্জলি দেওয়া হয়। এদিন প্রয়াত পূর্ব-পুরুষের আত্মারা মর্ত্যলোকে সমাবেত হন। এ সমাবেশের নাম মহালয়া।
এসময় মর্ত্যলোকে ক্ষণিকের অতিথি হয়ে আসা পূর্ব-পুরুষদের আত্মার তর্পণ করা হয়। এটি আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষ বা পিতৃপক্ষ বলে পরিচিত।
মহালয়াতে কৃষ্ণপক্ষের পালা শেষ করে শুরু হয় শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষ। এসময় চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয় দেবী দুর্গাকে।
এদিন থেকেই দুর্গাপূজার অপেক্ষা শুরু হয়। আসছে ১৯ অক্টোবর (সোমবার) মহাষষ্ঠী। এর আগের দিন অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর পঞ্চমীতে অকাল বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজা।
দেবী পার্বতী সুদূর কৈলাস পর্বত থেকে বাবার বাড়িতে পা রাখবেন। পূজামণ্ডপে আর বাড়িতে বাড়িতে শোনা যাবে মন্ত্রধ্বনি। ধূপকাঠির গন্ধে চারদিকে বিরাজ করবে অপার শুদ্ধতা। শুভ্রশঙ্খ আর ঢাকের ধ্বনিতে সরব হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
সনাতন রীতি অনুসারে, দুর্গাপূজা আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষ ও চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষে পালন করার নিয়ম। এর নাম, বাসন্তী দুর্গাপূজা ও শারদীয় দুর্গাপূজা।
শরতকালে দুর্গাপূজা পালনের রীতির পেছনে রয়েছে পৌরাণিক উপাখ্যানের প্রভাব। পুরাণ অনুযায়ী, ভগবান শ্রীরামচন্দ্র লঙ্কা জয়ের আগে ও সীতাকে উদ্ধার করার অভিপ্রায়ে বসন্ত আসার আগেই দুর্গাদেবীর আরাধনা করেন। সময়টা ছিলো শরতকাল। শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে দেবীর পূজা করেছিলেন বলে শারদীয় দুর্গাপূজাকে দেবীর অকাল বোধন বলা হয়।
আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন অর্থাৎ মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত চলে শারদীয় দুর্গোৎসব। দেবী দুর্গার বিসর্জনের মাধ্যমে পূজা শেষ হয়। এরপর দেবী পার্বতী এক বছরের জন্য স্বর্গলোকে চলে যান।
দুর্গাপূজার পাঁচদিন পর কোজাগরি পূর্ণিমায় লক্ষ্মীপূজার দিনই হলো দেবীপক্ষের শেষ দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
এসএমএন/এসএস