ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

বিষণ্নতা এড়াতে মাছ!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৫
বিষণ্নতা এড়াতে মাছ! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিষয়টি ভাবার মতো বটে! তবে সাম্প্রতিক কয়েকটি গবেষণার ফলাফল বলছে, যারা প্রচুর মাছ খান তাদের বিষণ্নতার হার অন্যদের তুলনায় কম। সারকথা হলো, মাছ খেলে বিষণ্নতা কমে।

আর এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
 
ইউরোপের বিগত বছরগুলোর ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যারা প্রতিদিন মাছ খান তারা অন্যদের তুলনায় ১৮ শতাংশ কম বিষণ্নতায় ভোগেন।  
 
বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, যারা প্রচুর মাছ খান তাদের মধ্যে পুরুষদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ও নারীদের ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ বিষণ্নতা কমেছে।


অনলাইন জার্নাল অব এপিডেমিওলজি ও কমিউনিটি হেলথে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মানসিক সুস্থতার সঙ্গে মাছের একটি যোগসাজশ রয়েছে। খাদ্যতালিকায় মাছ রেখে প্রাথমিকভাবে বিষণ্নতা কমানো সম্ভব। তবে পরবর্তী গবেষণাগুলোতে দেখা হবে মাছের ধরন অনুযায়ী কার্যকারিতা কেমন।

এদিকে, ন্যাচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায়, গুরুতর সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা মাছের তেল খাওয়ার মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।


এ গবেষণায় ১৩ থেকে ২৫ বছর বয়সী কিছু ব্যক্তির ওপর একটি পরীক্ষা করা হয়। এদের সবার মধ্যেই সিজোফ্রেনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ ছিলো। আক্রান্ত ব্যক্তিদের দু’টি দলে ভাগ করা হয়। প্রথম দলটিকে মাছের তেল সেবন ও দ্বিতীয় দলটিকে মানসিক আরোগ্যলাভে নিরাময়ক পিল দেওয়া হয়।  

সাত বছর পর দেখা গেল, যারা মাছের তেল সেবন করেছেন তাদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ ব্যক্তির মধ্যে সিজোফ্রেনিয়ার বিকাশ ঘটেছে।


সাম্প্রতিক অন্য একটি গবেষণায় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী দেখেছেন, মস্তিষ্ককে  আলজেইমার্স বা স্মৃতিভ্রংশতা ও অন্য মানসিক ব্যধি থেকে নিরাপদ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা হলো সবচেয়ে ভালো উপায়।

গবেষণা দলটি পরবর্তীতে এসব মানসিক রোগের ঝুঁকি এড়াতে স্যালমন ও সার্ডিনের মতো ওমেগা-৩ সম্পন্ন চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৫
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।