ঢাকা: আমান্ডা ফাইফ জন্মগতভাবে ওস্টিওজেনেসিস ইমপারফেক্টা রোগে আক্রান্ত। সহজে বললে, তার হাড় সহজে ভেঙে যায়।
মধ্য ইংল্যান্ডের লেস্টারসেয়ারবাসী এ নারীর বেড়ে ওঠা জন্মগতভাবেই ছিলো নানা সীমাবদ্ধতায় মোড়ানো।
এমনকি জন্মের পর ডাক্তার আমান্ডার মাকে বলেছিলেন, সদ্যজাত সন্তানটি এক রাতের বেশি বাঁচবে না। কিন্তু আজ তিনি নিজেই ফুটফুটে এক সন্তানের মা। একমাত্র ছেলেটির নাম এইডেন।
আমান্ডাকে সবসময় হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতে হয়। কিন্তু কোনো দায়িত্ব-পালনে বিন্দুমাত্র কমতি নেই তার।
এবার আসি মূল গল্পে, আমান্ডা ও স্টিভেনের পরিচয় ২০০৭ সালে। এক ট্যাক্সি ৠাংকে তারা দু’জনেই কাজ করতেন। তবে তখন কেউই জানতেন না, তাদের এ সাক্ষাৎ বিয়ের কার্ড অব্দি গড়াবে।
আমান্ডা স্বভাবতই নিজের উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তার দুশ্চিন্তা ছিলো, উচ্চতার কারণেই হয়তো ভালো জীবনসঙ্গী পাবেন না।
তখন পর্যন্ত স্টিভেন-আমান্ডা বন্ধুই ছিলেন। সম্পর্কের দু’বছর বয়ে গেলেও কোনোদিন ঘুরতে যাননি তারা।
কিন্তু হঠাৎ বন্ধুত্ব রূপ নিলো ভালোবাসায়। ২০১২ সালে স্টিভেন আমান্ডাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। খুশিতে ডগমগ আমান্ডার সম্মতিতে তারা বিয়ে করেন। বহু খুঁজে বাছাই করা সাদা বিয়ের পোশাকে আমান্ডাকে লাগছিলো ছোট্ট পুতুলের মতো!
আমান্ডা জানান, আমাদের একসঙ্গে দেখে অনেকেই আড়চোখে তাকায়। কিন্তু আমরা সেটিকে পাত্তা দিই না।
এ তো গেলো আমান্ডার কথা। এদিকে স্টিভেন বলছেন, উচ্চতা কোনো বিষয় না। কম উচ্চতার কারণে আমার স্ত্রী আমার সীমায় পৌঁছাতে পারেনি তা কিন্তু নয়।
এখন স্টিভেন-আমান্ডা ছোট্ট এইডেনকে নিয়ে সুখেই বসবাস করছেন। তবে ছেলে এইডেনের জন্য প্রয়োজন আরেকজন সঙ্গীর। কিন্তু আমান্ডার শারীরিক অবস্থা দ্বিতীয়বার কনসিভ করতে কতটা সহায়ক হবে তা নিয়ে ডাক্তাররা বেশ শঙ্কায় রয়েছেন।
তাই আমান্ডা-স্টিভেন দম্পতি এইডেনকে একটি ভাই বা বোন উপহার দিতে ভাবছেন সন্তান দত্তক নেওয়ার কথা। যে কিনা তাদের দ্বিতীয় সন্তান ও এইডেনের উপযুক্ত সঙ্গী হবে।
সবশেষে তারা সুখী পরিবার হয়েই থাকতে চান বলে জানান আমান্ডা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
এসএমএন/এসএস