আবারও বাফুফে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তরফদার রুহুল আমিন। এবারের নির্বাচনে সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন তিনি।
আজ বাফুফে নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। গুঞ্জন ছিল এবারও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন তরফদার। হলোও তেমনটাই। প্রতিনিধি মাধ্যমে মনোনয়ন প্রত্যাহারের চিঠি দিয়েছেন তিনি।
মনোনয়ন প্রত্যাহারে পাঁচটি কারণ দেখিয়েছেন তরফদার- আইন না মেনে ডেলিগেট ফর্ম সরাসরি হাতে হাতে প্রদান করা, ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ এবং বাফুফে থেকে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের স্বাক্ষরকৃত নির্বাচনী বিধিমালা প্রকাশ ও বিতরণ, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন কমিশন গঠন (প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে একই পদে পরপর পাঁচবার দায়িত্ব প্রদান করা), নির্বাচন আয়োজনের স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি করতে না পারা এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা।
প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচন কমিশন আগেই গঠিত হয়েছিল। তখন কেন তরফদার নির্বাচন করার আগ্রহ দেখালেন। আজ কেন নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানালেন না? ডেলিগেট ফর্মও আগেই প্রদান করা হয়েছে। তখনও চুপ ছিলেন তরফদার। সব কিছু জেনে শুনে নির্বাচনে নেমে আবারও নিজের নিয়মে সরে গেলেন তিনি।
এর আগে ২০২০ সালে বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েও সরে দাঁড়ান তরফদার রুহুল আমিন। এবারও শুরুতে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। পরে নমিনেশন নেন সিনিয়র সহসভাপতি পদে। সেখান থেকেও নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি।
জানা গেছে, রুহুল আমিন নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি না দিয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি দিয়েছেন। এ নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি নির্বাচন কমিশন। তবে সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচন হচ্ছে না বাফুফেতে এমনটাই বলা যায়। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান।
এর আগে মনোনয়ন জমা দিয়ে প্যানেল গঠনের কথা বলেছিলেন তরফদার। জানিয়েছিলেন, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে প্যানেল গড়ে কাজ করতে চান ফুটবলের উন্নয়নে। তবে এ বিষয়ে কিছু বলেননি তাবিথ। তখনই ফুটবলাঙ্গনে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। অবশেষে রুহুল আমিনের বিদায় নিশ্চিত হলো আজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
এআর/এমএইচএম