সাও পাওলো: ১৯৫০ বিশ্বকাপ আর ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ তো এক কথা নয়। আধুনিক সময়ের বিশ্বকাপের সফল আয়োজক হওয়ার মতো সব রকমের যোগ্যতা কি ব্রাজিলের আছে? গত কয়েক বছরে উড়তে থাকা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে চলেছে ফুটবল ঐতিহ্যের এই দেশটি।
ফিফা সভাপতি গত কয়েক বছর ধরেই নানা ক্রুটি নিয়ে ব্রাজিলের সমালোচনা করে আসছিলেন। সেই সেপ ব্লাটারও এখন ব্রাজিলের পক্ষে কথা বলছেন। নানা ক্রুটি-বিচ্যুতি থাকা সত্বেও গ্রেট আয়োজন হতে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন তিনি।
স্থানীয় আয়োজক কমিটির প্রধান রিকার্ডো ট্রেডও জানিয়েছেন তেমনটি। বলেছেন, ‘সবরকম আয়োজন শেষ। মাঠের মধ্যে দারুণ প্রদর্শনীর অপেক্ষায় এখন আমরা সবাই। তবে বিশ্বকাপ চলার সময় শ্রমিক ধর্মঘট হলে সেটা হবে দুঃস্বপ্ন। আমরা অবশ্য তেমনটা আশা করছি না। ’
স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং সংস্কার করতে গিয়ে গত কয়েক বছর রাতের ঘুম হারাম হয়েছে আয়োজকদের। শ্রমিক মত্যু, ছাদ ধ্বসে পড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। বিশ্বকাপ শুরুর এক সপ্তাহ আগেও অপ্রস্তুত ছিল কয়েকটি স্টেডিয়াম। ২৪ ঘণ্টা কাজ করে সেগুলো অবশ্য ঠিকঠাক করা হয়েছে। দুদিন আগেও নতুন রাস্তা এবং বিমানবন্দর টার্মিনালের উন্নয়ন কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে শ্রমিকদের। তবে এগুলোকে পিছনে ফেলে ব্রাজিল এখন পুরোপুরি প্রস্তত বলে দাবি সে দেশের প্রেসিডেন্টের।
গত সপ্তাহেও সাও পাওলোর মেট্রো শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে ধর্মঘট করে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ভেন্যু এরেনা ডি সাও পাওলোর পাশেই তারা বিক্ষোভ করে।
দেশটির বেশীরভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করেন। ১২ মিলিয়ন ডলার খরচের বিশ্বকাপ আয়োজনের মানে খুঁজে পান না অনেকেই। বরং এই অর্থ দারিদ্র দূরীকরণ, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতে ব্যয় করলে দেশ অনেক লাভবান হতো- এমনটাই মনে করেন বিশ্বকাপ আয়োজনের বিরোধীরা।
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে প্রায় ৪০ লাখ বিদেশীর ব্রাজিল ভ্রমণ করা কথা। পর্যটন শিল্প থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয়ের আশা করছেন আয়োজকরা। ফিফা থেকেও মোটা অঙ্কের একটা অর্থ পাবে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। তাই বিশ্বকাপ আয়োজনকে ‘লস প্রজেক্ট’ মানতে চাইছেন না তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ১১ জুন ২০১৪