ঢাকা: ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেও সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হল ফ্রান্স। দ্বিতীয় রাউন্ডে ফরাসিরা খেলবে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে।
এর আগে ফ্রান্স ও ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচের প্রথমার্ধও শেষ হয়েছিল গোলশূন্য অবস্থায়।
প্রথমার্ধে ম্যাচের ১৫ মিনিটে সিসোকোর নেয়া একটি জোরালো শট রুখে দেন ইকুয়েডরের গোলকিপার ডোমিনগুয়েজ। ২৭ মিনিটেও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ফরাসিদের। সাঙ্গার কর্নার থেকে হেড করে গোল দিতে ব্যর্থ হন বেনজেমা।
৩৬ মিনিটে ইকুয়েডর একটি আক্রমণ শানায় ফ্রান্সের ডি বক্সে। টটেনহামের স্ট্রাইকার অ্যান্তনিও ভ্যালেন্সিয়ার এ প্রচেষ্টা সফল হতে দেননি ফ্রান্সের গোলকিপার লোরিস।
এর তিন মিনিট পরেই পাল্টা আক্রমণ যায় ফ্রান্স। তবে ইকুয়েডরের গোলকিপারকে পরাস্ত করতে পারেনি। দুই মিনিট পর ম্যাচের ৪১ মিনিটে লোরিস তার অসাধারণ দক্ষতায় দলকে গোলের হাত থেকে বাঁচালে গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষ করে ফ্রান্স।
দ্বিতীয়ার্ধের ৪৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান ইকুয়েডরের অধিনায়ক অ্যান্তনিও ভ্যালেন্সিয়া। এতে দশ জনের দলে পরিণত হয় ইকুয়েডর।
ম্যাচের ৬০ মিনিটে বেনজেমার একটি ছোট পাস থেকে সরাসরি ইকুয়েডরের গোলকিপার ডোমিনগুয়েজের হাতে তুলে দিলে দশজনের দলের বিপক্ষে গোল আদায় করে নিতে পারেনি পগবা।
এর চার মিনিট পরে আবারো একটি কর্নার কিক থেকে গোলের সম্ভাবনা জাগিয়েও ব্যর্থতার পরিচয় দেয় বেনজেমা। পুরো ম্যাচে গোলের দেখা না পাওয়া সাঙ্গা-পোগবারা ম্যাচের ৭২ মিনিটে গোলের সহজ একটি সুযোগ নষ্ট করে গোলবারের বাইরে শট নিয়ে।
ম্যাচের ৮২ মিনিটে ইকুয়েডরের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন ফ্রান্স গোলকিপার। এর দুই মিনিট পরেই আবারো অসাধারণ দক্ষতায় দলকে গোলের হাত থেকে রক্ষা করেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ানো ইকুয়েডরের ২৭ বছর বয়সী গোলকিপার ডোমিনগুয়েজ।
৮২, ৮৪, ৮৬, ৮৯ ও ৯০ মিনিটে ফ্রান্সের পরপর কয়েকটি জোরালো শট রুখে দেন ডোমিনগুয়েজ। তার একক দক্ষতায় দশজনের দল নিয়েও ফ্রান্সকে রুখে দেয় ইকুয়েডর।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় ব্রাজিলের মারকানা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয়েছিল দুই ম্যাচে জয় নিয়ে গ্রুপে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৪