ঢাকা: প্রথমে এ রহস্য উন্মোচন করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফন গাল। তিনি জানিয়েছিলেন, গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচের আগে প্রেয়সীদের (স্ত্রী বা বান্ধবী) সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ডাচ ফুটবলারদের।
ফন গালের তত্ত্ব, নাকি নিজেদের ‘বোধোদয়’ থেকেই এমন ‘তত্ত্ব’ প্রয়োগ শুরু করেছেন বা আগে থেকেই করছেন কে জানে, এই একই ‘তত্ত্ব’ প্রয়োগ করে বিশ্বকাপে এখনও টিকে আছে ব্রাজিল, জার্মানি ও কোস্টারিকা। প্রক্রিয়ায় জটিলতা থাকলেও প্রেয়সীদের সঙ্গে ফরাসি ফুটবলারদেরও ‘সাক্ষাৎ’ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
অবশ্য, বিশ্বকাপে টিকে থাকা আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম ও কলম্বিয়ার এ বিষয়ে অবস্থান এখনও জানা যায়নি। তবে, গ্যালারিতে এ তিন দলের ফুটবলারদের প্রেয়সীদের উপস্থিতি একই ‘তত্ত্বের’ প্রয়োগ হয়েছে বলেই স্পষ্ট মনে হচ্ছে।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জার্মান ও ফরাসি কোচ তার দলের খেলোয়াড়দের প্রেয়সীদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ দিয়েছেন। সফল দলগুলোর কোচরাও একই তত্ত্ব প্রয়োগ করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়ায় নকআউটে খেলতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, নাইজেরিয়ার মতো দলগুলো, অবশ্য প্রত্যাশিত ফল পায়নি কেবল উরুগুয়ে।
একইসঙ্গে এ তত্ত্বে বিশ্বকাপের মতোই ফ্লপ হয়েছে কেবল ওয়েন রুনি-স্টিভেন জেরার্ডদের ইংল্যান্ড।
এ তো গেল সাফল্যের গল্প। আর ব্যর্থতা? ডেইলি মেইল বলছে, প্রেয়সীদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ নাকচ করে দেওয়ায় নকআউট বা তার আগেও বাদ পড়ে গেছে স্পেন, চিলি, মেক্সিকো, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা ও রাশিয়ার মতো দলগুলো।
এখন দেখার বিষয় এই তত্ত্বের চূড়ান্ত ফল কোন দল ভোগ করে, ফন গালের নেদারল্যান্ডস, নাকি লুইস ফিলিপ স্কলারির ব্রাজিল অথবা আলেসান্দ্রো স্যাবেইয়ার আর্জেন্টিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৪