সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এর আগেও তিনবার উঠেছে ভারতের মেয়েরা। আর তিনবারই শিরোপা জয়ের বাধভাঙ্গা উল্লাসে মেতেছে দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে পরাশক্তি এই দলটি।
এবার তাদের সামনে হাতছানি টানা চতুর্থ শিরোপা জয়ের।
কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী এই ম্যাচটির আগে টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের কিছুটা ভীতির মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। আগের আসরগুলোর মতো ততটা নির্ভার থাকতে পারছে না, যতটা থাকার কথা ছিল। কেননা ফাইনালের মহারণে তাদের সামনে যে প্রতিপক্ষ তারা দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের উদীয়মান এক শক্তি। বলছি বাংলাদেশের নারী দলের কথা।
হ্যাঁ, অবশ্যই বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে একটি শক্তি যাকে মাথায় রেখে তবেই এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশকেই এখন মাঠে নামতে হয়। একটি উদাহরণ দিলেই বিয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। গেল ৩১ ডিসেম্বর গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে পরাশক্তি ভারতকে মোকাবেলা করেছিল সাবিনা খাতুন ও তার দল। অবাক করার বিষয় হলো ভারতের আক্রমণভাগ একবারের জন্য সাবিনাদের জালে বল জড়াতে পারেনি। অবশ্য বাংলাদেশও পারেনি। কিন্তু তাতে কি? দিন শেষে পয়েন্টতো হারাতে হয়নি। উল্টো সাফের পরাশক্তিদের সাথে ভাগ করে নিয়েছে ম্যাচ পয়েন্ট। সাফ নারী ফুটবলের ইতিহাসে এবারই প্রথম বাংলাদেশ ভারতকে রুখে দিয়ে উঠল সেমিফাইনালে।
আর সেমিফাইনালেও ভীষণ ক্ষুরধার এক দলকে দেখেছে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল প্রেমী দেশগুলো। কেননা সিরাত জাহান স্বপ্নার হ্যাটট্রিকে মালদ্বীপকে ৬-০ তে গুঁড়িয়ে দিয়ে তবেই শিরোপা জয়ের মিশনে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এবার শেষটা জয় দিয়ে করতে পারলেই প্রথমবারের মতো সাফ জিতে ইতিহাস রচনা করতে পারবে কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা।
আর সেটা তারা করতে ব্যর্থ হলে টানা চতুর্থ শিরোপা জয়ের উদযাপনে শিলিগুঁড়ির ওই কাঞ্চনজঙ্ঘা কাঁপিয়ে তুলবে স্বাগতিক ভারত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ৩ জানুয়ারি ২০১৭
এইচএল/এমআরপি