সেখানে কাজী সালাহউদ্দিন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ও বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।
সাফে প্রথমবারের মতো রানারআপ হওয়ায় বাফুফে সভাপতি জানান, ‘আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে আমি তোমাদের জন্য একটি অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করছি।
জাতীয় দলের মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের সাথে ক্যাম্পে থেকে অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন সালাহউদ্দিন। সাথে সাথে তিনি তাদের জন্য মাসিক বেতনের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় দলের এই মুহূর্তে কোনো খেলা নেই। আমি কোচ ও টেকনিক্যাল পরিচালকের সঙ্গে একটি পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ করছিলাম যে, অনূর্ধ্ব-১৬ দল যেটা সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাই খেলবে তাদের সাথে একই ক্যাম্পে সিনিয়র যারা সাফে খেলেছে তাদেরকেও থাকতে বলেছি। কারণ, অনূর্ধ্ব-১৬ দলটা ২-৪ বছরের মধ্যে একটি পূর্ণ জাতীয় দল হিসেবে গড়ে উঠবে এবং সাফ জিতবে। আমি এই দলটিকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গড়তে চাই। পরে ২০২০ পর্যন্ত। আমি আশা করছি ২০১৮ সালে আমরাই জিতবো। তোমরা যারা সিনিয়র আছো তাদেরকেও আমি বেতনের খাতে নিয়ে আসবো। ’
‘তোমরা ওদের সাথে থেকে অনুশীলন করতে থাকো। এক থেকে দুই বছর পর অনূর্ধ্ব-১৬ যখন একটি পরিপূর্ণ জাতীয় দলে পরিণত হবে তোমরা যারা সিনিয়র ৩-৪ জন আছো তারাও তাদের সাথে থাকবে। ওদের সাথে এই দীর্ঘ মেয়াদে অনুশীলন চালিয়ে গেলে তোমরাও ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করতে থাকবে। ওদের যেসব সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় সেটা তোমাদেরও দেয়া হবে। ’- যোগ করেন সালাহউদ্দিন।
ভারতে সদ্য সমাপ্ত সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬-০ ও ভারতের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করে তৃতীয়বারের মতো সাফ সেমিফাইনালে উঠে যায় বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে মালদ্বীপকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ ফাইনালে নাম লেখায় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।
তবে শিরোপা জেতা হয়নি লাল-সবুজের প্রমীলাদের। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ৩-১ গোলে হেরে যায় স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ৭ জানুয়ারি ২০১৭
এইচএল/এমআরপি