এর কারণ হিসেবে ফুটবলে এক ক্লাবে খেলোয়াড়দের দীর্ঘ মেয়াদে থাকার প্রবণতা কমে যাওয়াকে চিহ্নিত করেছেন ৭৫ বছর বয়সী ফার্গুসন। ২০০৪ সাল থেকে ম্যানইউর জার্সিতে খেলছেন ৩১ বছর বয়সী রুনি।
ববি চার্লটনকে টপকে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নেন রুনি। স্টোক সিটির মাঠে শনিবারের (২১ ডিসেম্বর) লিগ ম্যাচটিতে শেষ মুহূর্তে পয়েন্ট বাঁচানো ফ্রি-কিকে দলের হার এড়ান ইংলিশ অধিনায়ক।
পেয়ে যান বহুল আকাঙ্ক্ষিত ২৫০তম গোলের দেখা। বর্তমানে খেলছেন এমন কেউই তার ধারেকাছে নেই। শীর্ষ দশের সবাই ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন। এর আগে জাতীয় দলের হয়েও চার্লটনকে ছাড়িয়ে নিজেকে সবার শীর্ষে নিয়ে যান রুনি।
ম্যানইউর অফিসিয়াল টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক শিষ্যকে নিয়ে কথা বলেন ফার্গুসন, রুনিকে যিনি এভারটন থেকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিয়ে এসেছিলেন। কোনো একদিন অন্য কোনো খেলোয়াড় রুনির অর্জন অতিক্রম করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি।
ফার্গুসনের ভাষ্য, ‘আমি তা মনে করি না। আমি বলছি না এটা সম্ভব নয়। কখনও না বলিনি। কিন্তু আপনি আধুনিক দিনের ফুটবল দেখুন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্বল্প ক্লাবগুলো মধ্যে একটি যারা ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে খেলোয়াড়দের ধরে রাখে। ’
‘এটা আগের চেয়ে আরো কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আমরা খুবই ভাগ্যবান। যদি আমার সময়ের দিকে তাকান, এমনকি স্যার ম্যাচ বাবসির (সাবেক কোচ) সময়ে, আমরা ১০ বছরের অধিক সময় খেলোয়াড়দের পেয়েছি। অনেকেই ক্লাবে দীর্ঘ সময় ছিল এবং রুনি তার মধ্যে একজন। কিন্তু, আধুনিক সময়ে এটা অনেক কমে এসেছে এবং খুব কম খেলোয়াড়ই এক ক্লাবে এমন মেয়াদে থাকছে। সবার আশা এটা (রুনির রেকর্ড) স্থায়ী হবে এবং আগামী ১০ বছর এ রেকর্ডটি কেউ ভাঙতে পারবে না। খুব কম খেলোয়াড়ই আছে যারা তা করে দেখাতে পারবে। ’-যোগ করেন ফার্গুসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭
এমআরএম