ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ড্রতে ‘টিকে’ রইল ঢাকা আবাহনী

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
ড্রতে ‘টিকে’ রইল ঢাকা আবাহনী কোরিয়ান পোচন সিটিজেন ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে টুর্নামেন্টে ‘আপাতত’ টিকে রইল ঢাকা আবাহনী। ছবি: উজ্জ্বল ধর, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে: আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামালের নামে আয়োজিত টুর্নামেন্ট শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে দৈন্যদশা চলছেই ঢাকা আবাহনীর। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঐতিহ্যবাহী দলটি। তবে কোরিয়ান পোচন সিটিজেন ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে টুর্নামেন্টে ‘আপাতত’ টিকে রইল ঢাকা আবাহনী।

সোমবার বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হয় ঢাকা আবাহনী বনাম পোচন সিটিজেন ফুটবল ক্লাবের খেলা। শুরু থেকেই ধীরগতিতে শুরু করে দুটি দল।

তবে খেলার সময় যতই বাড়তে থাকে গতির পারদ বাড়াতে উভয় দল। এর মধ্যেই ৭ মিনিটে দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি আবাহনী। ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে আবাহনীর জোনাথন গোলপোস্ট বরাবর শট নেন। সেখানে  ডি বক্সে জটলার মধ্যে বল পেয়ে সিমন যে শটটি নেন তা পোচনের অধিনায়ক জো তাই ও দুর্দান্তভাবে পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন। এর পরের মিনিটে আবাহনীর গোলকিপার শাহিদুল আলমের ভুলে বল চলে যায় পোচনের জি কিয়ং ডিউয়কের কাছে। তবে তার শটটি মাঠের বাইরে চলে গেলে হাফ ছেড়ে বাঁচেন শাহিদুল। ১০মিনিটে পোচনের ডিউকের আরও একটি প্রতিরোধ থামিয়ে দেন আবাহনীর ডিফেন্ডাররা।

গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।

প্রথমার্ধের ১৭মিনিটে আবারও গোল করার বড় সুযোগ পায় কোরিয়ান তৃতীয় বিভাগের দলটি। ডিউকের বাড়িয়ে দেওয়া বলে কিম চান হিইয়ি’র নেওয়া শটটি আবাহনীর গোলকিপার শাহিদুল ডানদিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন। একইভাবে ৪২মিনিটেও পোচনের আরও একটি আক্রমণ দুর্দান্তভাবে থামিয়ে দেন শাহিদুল। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে আবাহনীর জোনাথনের ক্রস থেকে এমেকার নেওয়া দুর্দান্ত হেডটি পোচনের গোলকিপার চুঈ আন সিউং কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। এর মধ্যে দিয়ে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গতিময় ফুটবল খেলতে থাকে উভয় দল। গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠে দক্ষিণ কোরিয়ার দলটি। বারবার হানা দিতে থাকে আবাহনীর ডিবক্সে। এর মধ্যেই ৫৫মিনিটে গোল তৈরির সুযোগ পেয়ে যায় দলটি। একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে পার্ক জুং সু’র ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটটি আবাহনীর গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। তবে ৬১ মিনিটের মাথায় বড় একটি সুযোগ পায় আবাহনী। জোনাথনের ক্রসটি এমেকার মাথা ছুয়ে চলে যায় কামারার পায়ে। তবে তার নেওয়া শটটি গোলপোস্ট খুঁজে পায়নি। ড্র’তেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।

৬৮ মিনিটে দুর্ভাগ্যভাবে পোচনের লি সিউং ও’র নেওয়া শটটি গোলবারে লেগে বাইরে চলে গেলে খেলা গোলশূন্যই থাকে। এরপর উভয়পক্ষই বেশ কয়েকটি ছোট ছোট সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। খেলা শেষ হবার মাত্র দুমিনিট আগে আবাহনীর জীবন পা লাগাতে ব্যর্থ হন। এর ফলে ড্র’তেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।

ম্যাচ শেষে ঢাকা আবাহনীর কোচ ড্রাগো মমিচ বলেন, এই ম্যাচটি আমার টিমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জিততে পারলে ভালো হতো। কিন্তু কোরিয়ান দলটি খুব ভালো। আমরা ভালো খেলেছি, ফলে ড্র করতে পেরেছি। এতেই আমরা খুশি। ’

অন্যদিকে পোচনের কোচ কিম জাঈ ইয়ং বলেন, ‘ঢাকা আবাহনী খুবই ডিফেন্সিব খেলেছে। এতে তারা সফল হয়েছে। জিততে পারলে ভালো লাগতো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।