খেলোয়াড়ী জীবনে ম্যারাডোনা ও পচেত্তিনো নিউওয়েলস ওল্ড বয়েস ক্লাবে এক মৌসুমের (১৯৯৩-৯৪) জন্য টিমমেট ও রুমমেট ছিলেন। তখন পচেত্তিনো ২১ বছরের ডিফেন্ডার আর ম্যারাডোনা বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।
ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারের সুবাদে লম্বা বিরতির পর দু’জনের দেখা। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ক্লাবের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে টটেনহাম-লিভারপুল ম্যাচ দেখেন অতিথি ম্যারাডোনা। প্রথমার্ধ শেষে মাঠেও নামেন। ম্যারাডোনাকে তার নামে ১০ নম্বর জার্সি উপহার দেয় টটেনহাম। গ্যালারির দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি।
ম্যারাডোনার উপস্থিতিতে অল রেডসদের স্রেফ উড়িয়ে দেয় পচেত্তিনোর শিষ্যরা। ৯ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানইউর সমান পয়েন্ট স্পারসদের (২০)। মাত্র ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে লিভারপুল।
উড়ন্ত জয়ের পর ম্যারাডোনাকে নিয়ে উচ্ছ্বাসই ঝরে পচেত্তিনোর কণ্ঠে, ‘ম্যানেজার’স রুমে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে। এটা খুবই আবেগপ্রবণ সময় ছিল। তাকে বিদায় জানানোটা কঠিন কারণ আপনি ম্যারডোনার সামনে থাকলে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইবেন, তার সঙ্গে থাকতে চাইবেন এবং মুহূর্ত ভাগাভাগি করতে চাইবেন। ’
‘আমার জন্য এটা খুবই আবেগপূর্ণ মুহূর্ত কারণ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আমি তাকে দেখিনি। আবারো দেখা হওয়াটা চমৎকার। আমার কাছে তিনি ফুটবলের সেরা খেলোয়াড় এবং অনেক বড় কিছু। তিনি প্রতিটি মুহূর্ত মনে রেখেছেন যা আমরা ভাগাভাগি করেছিলাম। আমরা নিউওয়েলস ওল্ড বয়েসে একসঙ্গে খেলেছিলাম। ’
পচেত্তিনো আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও ম্যারাডোনা চমৎকার। তার ব্যক্তিত্ব অসাধারণ। আমি খুবই খুশি এব আশা করছি ফিফা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তাকে দেখবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম