পরে মামলাটি শীর্ষ আদালত পর্যন্ত গড়ালে ১৭ মাস ধরে স্থগিত ছিল এর প্রক্রিয়া। অবশেষে জয় হয়েছে মেসির।
এক বিজ্ঞপ্তিতে মেসির ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি জানায়, ‘বেসরকারি সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সকে সব মিলিয়ে ৭২ হাজার ৭৮৩.২০ ইউরো দান করেছেন লিওনেল আন্দ্রে মেসি কুচিত্তিনি। ভবিষ্যতে সম্মানহানি হয়, এমন সব ধরনের মিথ্যা ও ভুল অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করবেন তিনি। ’
মেসির সম্মানহানি হয়েছে-কি ছিল এমন খবর? যার জন্য মানহানির মামলা পর্যন্ত করেছেন তিনি?
জানা যায়, ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে যাওয়ার পর স্প্যানিশ পত্রিকা লা রাজোন মেসিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সাংবাদিক আলফোনসো উসিয়া ‘বানোয়াট’ খবর লিখেছিল আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে নিয়ে। স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদপত্রটিতে তিনি লিখেছিলেন-মেসি শক্তিবর্ধক ঔষুধ (ডোপ) নিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি লিখেছিলেন যে-মেসি একজন অলস খেলোয়াড়। তার হাতে ২০১৪ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার মানায় না।
সম্মান হানিকর এমন খবর প্রকাশের পর মেসি মামলা ঠুকে দেন ওই পত্রিকার বিরুদ্ধে। তাতে মামলায় জয়ী হন। বার্সার প্রাদেশিক আদালত এমন মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করায় লেখক উসিয়া ও লা রাজোন এর সম্পাদক ফ্রান্সিসকো মারহুয়েন্দাকে জরিমানা করেন। তবে, মামলা জিতে পাওয়া অর্থ নিজের কাছে রাখেননি মেসি। পুরোটাই তিনি দান করে দিয়েছেন আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ৩ নভেম্বর ২০১৭
এমআরপি