ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মেসির চাপেই রেফারির বাজে সিদ্ধান্ত!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৮
মেসির চাপেই রেফারির বাজে সিদ্ধান্ত! ছবি: সংগৃহীত

মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোর উত্তেজনাপূর্ণ সমাপ্তি হয়েছে। তবে শেষ হয়েও যেনো শেষ হচ্ছে না উত্তেজনার রেশ। কথার লড়াই মাঠের সীমানা ছাড়িয়ে এবার অভিযোগের তীরে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে বড় অভিযোগটা করেছেন রিয়ালের অধিনায়ক রামোস। তার দাবি রেফারির উপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করেছিলেন মেসি যার ফলে মাঠে বাজে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রেফারি!

বার্সা কিংবদন্তি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার বিদায়ী এল ক্লাসিকো এতো উত্তেজনা নিয়ে হাজির হবে তা হয়তো কেউ ভাবেননি। লা লিগার শিরোপা আগেই নিশ্চিত করেছে বার্সা।

ফলে ম্যাচটি অনেকটাই গুরুত্ব হারানোর কথা। কিন্তু হয়েছে ঠিক উল্টোটা। পুরো ম্যাচেই দুর্দান্ত আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ, দুর্দান্ত চারটি গোল, একগাদা গোল মিস, হলুদ কার্ড, লাল কার্ড ছাড়াও দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি কি ছিলো না এই ম্যাচে?

উত্তেজনার পরিমাণ বেড়ে যায় যখন বার্সা তারকা লুইস সুয়ারেজকে ফাউল করেন রিয়াল অধিনায়ক রামোস। বিনিময়ে হলুদ কার্ড দেখতে হয় রিয়াল অধিনায়ককে। কিন্তু তার প্রতিশোধ নিতেই কিনা অস্বাভাবিকভাবে ঠাণ্ডা মাথার মেসি কড়া ফাউল করে বসেন রামোসকে। এবার কার্ড খেতে হয় বার্সা ফরোয়ার্ডকে। কিন্তু মেসির মুখভঙ্গি পরিষ্কার করে দিয়েছে প্রিয় বন্ধুকে ফাউল করার প্রতিশোধ নিলেন তিনি।

কার্ডের ছড়াছড়ি আরও হয়েছে। বার্সার সার্জিও রবার্তো তো লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশজনের দলে পরিণত হয় বার্সা। রিয়ালের নাচোও দেখেন হলুদ কার্ড। খেলার অন্তিম মুহূর্তের পূর্বে রিয়াল ডিফেন্ডার মার্সেলোকে বার্সার ডিফেন্সে কড়া ট্যাকল করেন আলবা। রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গেছে ওটা ফাউল ছিল। অর্থাৎ, নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় রিয়াল। আর এই নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রিয়ালের অধিনায়ক।

মাঠেই একচোট রাগ ঝাড়ার পর ম্যাচ শেষে রিয়াল অধিনায়ক করে বসেন বড় এক অভিযোগ, তাও মেসির বিরুদ্ধে। তার দাবি, ‘ম্যাচ শুরুর আগে মেসি টানেলে রেফারির ওপর চাপ প্রয়োগ করেছে। সেখানে ক্যামেরা ছিল কি না আমি জানি না! তবে মেসির চাপের মুখেই দ্বিতীয়ার্ধে রেফারি বাজে সিদ্ধান্তগুলো দিয়েছেন কি না, সেটাও আমি বলতে পারব না। ’

তবে মাঠের ঘটনা মাঠেই শেষ বলে ঝামেলার সমাপ্তি টানতে চান রামোস। রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখানোর কথাও বলেন তিনি।

কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ভারেনেকে সুয়ারেজের ফাউলের ঘটনায় ওই সময়ে মেসির গোলটি বাতিল করা উচিৎ ছিল বলেও মনে করেন রামোস।

মাঠের উত্তেজনা মাঠের বাইরে ছড়ানোর যে কথা বলা হয়েছিলো তার একটা উদাহরণ টানেলে পিকে আর নাচোর মধ্যকার ঝগড়া। তবে দুই স্পেন সতীর্থের পাশেই দাঁড়ালেন রিয়াল অধিনায়ক।  এমন ঘটনাকে পাত্তা দিতে নারাজ তিনি।

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬২৩ ঘণ্টা, ০৭ মে, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।