ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

জার্মানিকে ‘বিদায়’ বলায় ওজিলের প্রশংসায় তুরস্ক

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
জার্মানিকে ‘বিদায়’ বলায় ওজিলের প্রশংসায় তুরস্ক এরদোগানের সঙ্গে ওজিলের সাক্ষাতের সেই মুহূর্ত/ফাইল ফটো

ঢাকা: বৈষম্যের শিকার হয়ে জার্মানির জাতীয় ফুটবল দল থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় তার্কিশ বংশোদ্ভূত তারকা মেসুত ওজিলের প্রশংসা করেছেন তুরস্কের কয়কজন মন্ত্রী। এক মন্ত্রী তাকে ‘ভাই’ বলেও সম্বোধন করেছেন।

বিশ্বকাপের আগে মে মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোগানের সঙ্গে লন্ডনে সাক্ষাৎ করায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন আর্সেনালের মিডফিল্ডার ওজিল। এমনকি রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে এমন কাণ্ডে তার খেলোয়াড়ি বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে।

সেই ঘটনার পর বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই ২০১৪ সালের বিশ্বকাপজয়ী জার্মানির বিদায়ের দায় বেশিরভাগ এসে পড়ে ওজিলের ঘাড়ে। খোদ জার্মানির সাবেক তারকারাই তার সমালোচনায় মেতে ওঠেন।  

এতোদিন এ বিষয়ে চুপ থাকলেও নীরবতা ভেঙেছেন ওজিল। রোববার (২২ জুলাই) এক টুইটার বার্তায় এই তারকা মিডফিল্ডার জানিয়ে দেন, তিনি জার্মানির হয়ে আর খেলবেন না। বৈষম্য আর অসম্মানের শিকার হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

ওজিল তার ‍টুইটে বলেন, ‘তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে ছবি তোলা আমার জন্য রাজনৈতিক ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয় ছিল না, এটা আমার পরিবারের দেশের সর্বোচ্চ অফিসকে সম্মান করার মতো বিষয় ছিল। কিন্তু জার্মান ফুটবল ফেডারেশন ও আরও অনেকে আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছে তাতে আমার আর জার্মানির জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার আগ্রহ শেষ করে দিয়েছে। আমি অবাঞ্চিত বোধ করছি এবং আমি মনে করি ২০০৯ সালে অভিষিক্ত হওয়ার পর যা অর্জন করেছি তা বিস্মৃত হয়ে গেছে। ’

নিজেকে অর্ধেক জার্মান, অর্ধেক তুর্কি বলে অভিহিত করে ওজিল লেখেন, ‘আমার দু’টি হৃদয়, একটি জার্মান আর একটি তুর্কি। তারা (সমালোচক) আমার পারফরম্যান্সের সমালোচনা করে না, তারা দলের পারফরম্যান্স নিয়েও সমালোচনা করে না, তারা শুধু আমার তুর্কি পরিচয় নিয়ে সমালোচনা করে। ...আমি যখন জয়ী হই তখন জার্মান আর যখন হেরে যাই তখন আমি (তুরস্কের) শরণার্থী। ’

ওজিলের এমন বক্তব্য ও সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তুরস্কের বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুলহামিত গুল টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি মেসুত ওজিলকে অভিনন্দন জানাই, সে জাতীয় দলে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফ্যাসিবাদের ভাইরাসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সুন্দর গোল করেছে। ’

তুরস্কের ক্রীড়ামন্ত্রী মেহমেত কাসাপোগলু লিখেছেন, ‘আমাদের ভাই মেসুত ওজিল যে সম্মানজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে আমি তাকে সর্বতোভাবে সমর্থন করি। ’

ওজিলের জাতীয় দল ত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার আগেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহীম কালিন বলেন, ‘যারা নিজেদের সহনশীল আর বহুবিচিত্র সংস্কৃতির ধারক বলে দাবি করে, তাদের জন্য কষ্টের বিষয়ই হতে পারে এরদোগানের সঙ্গে ওজিলের সাক্ষাৎ। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
এমএইচএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।