বার্সালোনা প্রথম গোলের সুযোগ পায় ম্যাচের ৯ মিনিটে। ডি-বক্সের খুব কাছ থেকে জটলার মধ্য থেকে বল পেয়ে যান মেসি।
২১ মিনিটে আরো একটি গোলের সুযোগ পায় বার্সেলোনা। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে বার্সার ক্রোয়েট মিডফিল্ডার ইভান র্যাকিটিচের নেয়া জোড়ালো শট গোলপোস্টের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
প্রধমার্ধের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন স্বয়ং মেসি। ৪২ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন তনি। অফসাইডের কথা চিন্তা করেই হয়তো শটটি ভালোভাবে নেননি আর্জেন্টাইন তারকা।
গোলশূন্য বিরতির পর আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে স্বাগতিকরা। ৪৯ মিনিটে জর্ডি আলবার নেয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৩ মিনিটে কুতিনহোর পাস থেকে বল পেয়ে যান ম্যালকম। মাঝ মাঠ থেকে পেনাল্টি বক্সে বল নিয়ে গিয়ে ম্যালকমের বাম পায়ের শটটি ফিরিয়ে দিয়ে বার্সাকে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত করেন এস্পানিওলের সাবেক রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেজ।
তবে বার্সা কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ৭১ মিনিটে। পেনাল্টি বক্স লাইনের সামান্য আগে মেসিকে ফাউল করেন এস্পানিওলের ডিফেন্ডার। ফ্রি-কিক থেকে আলতো চিপ শট দিয়ে দারুণ এক বুদ্ধিদীপ্ত গোলে বার্সেলোনাকে লিড এনে দেন মেসি।
এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ পায় বার্সা। তবে ম্যাচের শেষ দিকে ৮৯ মিনিটে আবারো সাফল্যের দেখা পায় স্বাগতিকরা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পান ম্যালকম। পেনাল্টি বক্সে নিয়ে গিয়ে বল বাড়িয়ে দেন মেসির দিকে। দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন বার্সা অধিনায়ক।
ম্যাচের বাকিটা সময় চেষ্টা করেও আর কোনো গোল আদায় কতে পারেনি বার্সেলোনা। ফলে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালানরা। এই জয়ে ২৯ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করেছে ভালভার্দের শিষ্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
আরএআর/এমজেএফ