সোমবার (১২ আগস্ট) এক টুইটে লুইস ব্রাউনের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন সাবেক আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা সহ আরও অনেকে।
ক্যারিয়ারে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে দারুণ সফল ছিলেন ব্রাউন। ক্লাব ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় তিনি কাটিয়েছেন দেশের ক্লাব এস্তুদিয়ান্তেসে। এই ক্লাবের হয়ে ৩০০টি লিগ ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। বোকা জুনিয়র্সের হয়েও খেলেছেন ৯ ম্যাচ। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে হাঁটুর ইনজুরির কারণে পরবর্তী ক্লাব দেপোর্তিভো এস্পানিওল তাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু তারপরও তাকে মেক্সিকো বিশ্বকাপের দলে রাখে আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেলেও ব্রাউন ছিলেন মূলত প্রথম পছন্দ দেনিয়েল পাসারেলা’র ব্যাক-আপ। কিন্তু অসুস্থতার জন্য পাসারেলা ছিটকে গেলে দিয়েগো ম্যারাডোনার নেতৃত্বে মূল একাদশে সুযোগ পেয়ে যান ব্রাউন। বিশ্বকাপ, তিনটি (১৯৮৩, ১৯৮৭ ও ১৯৮৯) কোপা আমেরিকার আসর মিলিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে ৩৬টি ম্যাচ খেললেও গোল পেয়েছেন মাত্র একটি। আর সেটিও ঠিক বিশ্বকাপের ফাইনালে।
ফাইনাল ম্যাচের ২৩তম মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে হেড করে গোলটি করেন ব্রাউন। ম্যাচটি আর্জেন্টিনা জিতে যায় ৩-২ গোলে। তবে ম্যাচের শেষদিকে পশ্চিম জার্মানির নরবার্ট এডারের সঙ্গে সংঘর্ষে তার কাঁধের হাড় সরে যায়। কিন্তু এরপরও মাঠ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান ব্রাউন। প্রচণ্ড ব্যথা নিয়েও দেশের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জয় তিনি মাঠে থেকেই উদযাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
এমএইচএম