কথার কথা নয়, বাস্তবিক অর্থেই সুয়ারেস ছাড়া মেসি ‘একা’। সেটা পরিসংখ্যানও বলছে।
পরিসংখ্যান আরও বলছে, চলতি মৌসুমে চলতি মৌসুমে উসমানে দেম্বেলে, আনসু ফাতি কিংবা কার্লোস পেরেস কেউই মেসির গোলে অ্যাসিস্ট করতে পারেননি। আবার মেসিও তাদের কোনো অ্যাসিস্ট করেননি। অর্থাৎ তাদের সঙ্গে মেসির সংযোগ হচ্ছে না। তবে নতুন আসা আঁতোয়া গ্রিজম্যান অবশ্য অধিনায়ককে দু’বার অ্যাসিস্ট করেছেন। কিন্তু সুয়ারেস একাই করেছেন চার বার।
তবে এমন নয় যে, সুয়ারেস নেই বলে খারাপ খেলছেন মেসি। বরং এখনও নিজের সেরাটাই দিয়ে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু সুয়ারেসের সঙ্গে তার যে যুগলবন্দী, সেটাই এই দল এখন মিস করছে। বল নিয়ে দৌড়ে গিয়ে ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় বলটা যাকে পাঠালে অধিকাংশ সময় ফল আসতো, সেই ‘পারফেক্ট’ স্ট্রাইকারকে মিস করাটাই স্বাভাবিক। আবার মেসিও ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় বল পাওয়ার জন্য সুয়ারেসের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। অর্থাৎ দুজন দুজনকে দারুণভাবে বুঝতে পারেন। এটাই তাদের সাফল্যের মূল রহস্য।
আবার মেসির একাকীত্ব শুধু মাঠকেন্দ্রিক নয়, বরং সমস্যাটা ফুটবলের চেয়েও বেশি কিছু। সুয়ারেস হচ্ছেন মেসির সবচেয়ে কাছের বন্ধু। দুজন থাকেনও কাছাকাছি। তাছাড়া দুজনে একসঙ্গে অনুশীলন আর ম্যাচ খেলতে যান। দুজনের পরিবারের ঘনিষ্ঠতাও অনেক। ফলে আগামী চার মাস সুয়ারেসকে কতটা মিস করবেন মেসি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এরইমধ্যে বার্সা সমর্থকরা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন, তাদের প্রিয় তারকা আবার এই একাকীত্ব থেকে ‘বিষণ্ণ’ না হয়ে পড়েন। একই দুশ্চিন্তার কথা ২০১২ সালে একবার পেপ গার্দিওলাও উচ্চারণ করেছিলেন। তৎকালীন বার্সা ও বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা গার্দিওলা বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করি যেন মেসি কখনো বিষণ্ণ না হয়ে পড়ে এবং সবসময় যেন তাকে ঘিরে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় থাকে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এমএইচএম