ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

বিশ্বকাপ বাছাই: নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
বিশ্বকাপ বাছাই: নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি লিওনেল মেসি/ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ কোপা আমেরিকায় লাল কার্ড দেখার পর এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হন লিওনেল মেসি। তবে এ কারণে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের কোনো ম্যাচ মিস করবেন না এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

 

এক টুইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রেসিডেন্ট ক্লদিও তাপিয়া।

গত বছরের জুলাইয়ে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বিতর্কিত লাল কার্ড দেখেন মেসি এবং তাকে ১ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়। পরে ‘দ্য সাউথ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন’ বা ‘কনমেবল’ জানিয়ে দেয়, জাতীয় দলের জার্সিতে পরবর্তী এক ম্যাচে বসে থাকতে হবে মেসিকে। যদিও ওই বছরের শেষ দিকে ব্রাজিল এবং উরুগুয়ের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

আগামী মাসে ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। এর আগে কনমেবলকে মেসির নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ জানায় এএফএ, যাতে সফলতাও এসেছে বলে জানিয়েছেন তাপিয়া। তাদের যুক্তি ছিল, নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাদের সেই যুক্তি টিকেও গেছে। এক টুইট বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছে এএফএ।

কোপার সেই ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে চিলিয়ান ফুটবলার গ্যারি মেদেলের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়ান মেসি। এই ঘটনায় মেসি ও মেদেল দুজনকেই লাল কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচটি অবশ্য শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জিতে যায় আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে গোলের দেখা পান সার্জিও আগুয়েরো এবং পাওলো দিবালা।  

ওই আসরের সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ২-০ গোলে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভঙ্গ হয় আর্জেন্টিনার। ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনার দুটি পেনাল্টির দাবি নাকচ করা হয়। তখনও রেফারি ও কনমেবলের ওপর ক্ষোভ ঝারেন মেসি। তার অভিযোগ ছিল, ব্রাজিলের হাতে শিরোপা তুলে দেওয়ার জন্যই চেষ্টা করছে কনমেবল। এসব কথা বলার কারণেই তাকে পরের ম্যাচে (চিলির বিপক্ষে) লাল কার্ড দেখতে হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এমনকি ম্যাচ শেষে পদক নিতেও যাননি তিনি।

তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ শেষে মেসি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, পুরো ব্যাপারটা ব্রাজিলকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই সাজানো হয়েছে। আমি আশা করি ভিএআর এবং রেফারিরা ফাইনালে পক্ষপাতিত্ব করবে না এবং পেরুও লড়াই করতে পারবে। কিন্তু আমার চোখে এটা বেশ কঠিন হবে। ’

মেসি আরও বলেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতির অংশ হতে চাই না। কোপা আমেরিকায় যে অসম্মানজনক ঘটনা ঘটছে এর অংশ হওয়া আমাদের উচিত হবে না। এজন্য পদক নিতে যাইনি। আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারতাম, কিন্তু আমাদের ফাইনালে যেতে দেওয়া হলো না। দুর্নীতি, রেফারি এবং বাকিরা মিলে মানুষকে ফুটবল উপভোগ করতে দিল না। ’ 

পরে অবশ্য এই আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন মেসি। কিন্তু তার বড় ধরনের শাস্তির আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়। সঙ্গে জরিমানা করা হয় দেড় হাজার ডলার। এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ায় কাতার বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে দলের প্রথম ম্যাচে তার খেলার কথা ছিল না। তবে এএফএ আপিল করার পর সেই শাস্তিও আর পেতে হচ্ছে না তাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।