ফের বড় ধাক্কা খেলো পাকিস্তানের ফুটবল। দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের (পিএফএফ) ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার অনুমোদন দিয়েছে ফিফা কংগ্রেস।
তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগে গত ৭ এপ্রিল পাকিস্তানের ফুটবল ফেডারেশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ফিফা। এরপর গত সপ্তাহে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ৭১তম ফিফা কংগ্রেসে বিষয়টি অনুমোদন করা হয়। ওই কংগ্রেসে ফিফার ২০৭ সদস্যের মধ্যে ২০৩ সদস্য উপস্থিত ছিল।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, ফুটবল ফেডারশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ। এর ব্যত্যয় হলে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যার মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি নিষেধাজ্ঞা।
সম্প্রতি লাহোরে অবস্থিত পিএফএফ এর কার্যালয় দখলে নেয় বিদ্রোহী কর্মকর্তাদের একটি গ্রুপ। এমনকি সরকারি হস্তক্ষেপে ভেঙে দেওয়া হয়েছে ফেডারেশনের ফিফা অনুমোদিত কার্যনির্বাহী কমিটি। ফিফা তখনই জানিয়ে দিয়েছিল, তাদের অনুমোদিত কোনো কমিটি পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব নিলে তবেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
২০১৮ সালে দেশটির সুপ্রিমকোর্টের হস্তক্ষেপে পিএফএফ এর সভাপতি হন আশফাক হোসেন শাহ। কিন্তু তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগে ফিফা এবং এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) তাকে স্বীকৃতি দেয়নি। পরে পিএফএফের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান হারুন মালিক। কিন্তু তাকে আবার আশফাক হোসেনের অনুগত গ্রুপ মেনে নেয়নি। হারুনের অফিসে জোর করে প্রবেশ করে আশফাক গ্রুপের লোকজন ফেডারশনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কাগজপত্র জোর করে ছিনিয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এর প্রেক্ষিতেই আসে ফিফার নিষেধাজ্ঞা।
পাকিস্তানের ফুটবলে এমন নিষেধাজ্ঞা অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৭ সালে আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটি ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব নিলে ফিফা তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করে। পরে ফিফার হস্তক্ষেপেই নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তারও আগে ২০১৫ সালেও একবার তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগে পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২১
এমএইচএম