সমানতালে লড়েও শেষ হাসি হাসতে পারল না চমকে দিয়ে ফাইনালে উঠে আসা রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। বরং দেনিয়েল কলিনদ্রেস ও রাকিব হোসেনের নৈপুণ্যে জমজমাট লড়াই শেষে ফেডারশন কাপের মুকুট পুনরুদ্ধার করল আবাহনী লিমিটেড।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার ২-১ গোল জয় পেয়েছে মারিও লেমোসের দল। দুই মৌসুম পর প্রতিযোগিতার শিরোপা ফিরে পেল তারা।
এর আগে ২০১৯-২০ মৌসুমে এই রহমতগঞ্জের কাছে হেরেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল আবাহনী। সেই হেরে যাওয়ার প্রতিশোধ নেওয়ার পাশাপাশি ১২টি শিরোপা জিতে ফেডারেশন কাপে নিজেদের রেকর্ডকে আরও উঁচুতে নিয়ে গেল দলটি।
এই নিয়ে চলতি মৌসুমে দ্বিতীয় শিরোপা জিতল আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। এর আগে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতেছিল ঘরোয়া ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী দলটি।
শুরুতে রহমতগঞ্জ দুটি ভালো সুযোগ নষ্ট করে। দ্বাদশ মিনিটে পোস্টের সামনে থেকে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি সানডে চিজোবা। তাকে ঠেকাতে আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এলেও রহমতগঞ্জের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
চতুর্দশ মিনিটে ফের সুযোগ আসে রহমতগঞ্জের সামনে। চিজোবার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ফিলিপ আজাহ। কিন্তু ঘানার এই ফরোয়ার্ডের শট পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে ঠেকান সোহেল।
চোটের কারণে দুই ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল অগাস্তো সান্তোস দি সিলভা ও দোরিয়েলতন গোমেস রদ্রিগেস না থাকায় প্রথমদিকে আক্রমণ শানাতে হিমশিম খাচ্ছিল আবাহনী। তবে ২৮তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে জুয়েল রানার হেড পাস থেকে অরক্ষিত নাবীব নেওয়াজ জীবন বল পান ছোট ডি-বক্সে। কিন্তু গোলরক্ষক রাকিবুল হাসান তুষারকে একা পেয়েও উড়িয়ে মারেন জীবন।
৪৫তম মিনিটে আরও একবার সুযোগ নষ্ট করেন চিজোবা। বক্সের সামনে থেকে তার জোরালো শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায়। অবশেষে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় আবাহনী। রাকিব হোসেনের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন কোস্টারিকার হয়ে বিশ্বকাপ খেলা কলিনদ্রেস
দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য ধরে রাখে আবাহনী। ৪৯তম মিনিটে কলিনদ্রেসের কোনাকুনি ভলি দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়। দুই মিনিট পর এই কোস্টারিকান ফরোয়ার্ডের শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। ৬৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাকিব। নুরুল নাইম ফয়সালের দূরপাল্লার শটে তুষার ফিস্ট করে ফেরানোর পর নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্ড।
গোল হজমের ছয় মিনিট পর আজাহর গোলে ঘুরে দাঁড়ায় রহমতগঞ্জ। শাহরিয়ার বাপ্পীর বাড়ানো থ্রু পাস ধরে ডিফেন্ডার মামুন মিয়াকে কাটানোর পর ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক শহিদুলের বাধা পেরিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। বাকি সময়ে আর ব্যবধান কমাতে পারেনি রহমতগঞ্জ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২২
এমএইচএম