ফিনল্যান্ডের হেলসেংকিতে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের হয়ে গোল দুটি করেন যথাক্রমে ডেভিড আলাবা এবং করিম বেনজেমা।
ইউরোপ সেরা রিয়াল মাদ্রিদ নতুন মৌসুমের শুরুটাও করল শিরোপা জয়ের উল্লাসে। মৌসুমের শুরুতে আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগ জয়ীর মধ্যে হয়ে থাকে এক ম্যাচের এই শিরোপা লড়াই। এই নিয়ে পঞ্চমবার ট্রফিটি জিতল রিয়াল। আর এ বছরে তাদের এটা চতুর্থ শিরোপা; জানুয়ারিতে স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের পর তারা ঘরে তোলে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি উয়েফা সুপার কাপে মাঠে নামিয়েছেন গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের একাদশ। এই মৌসুমে ছয়টি শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে প্রথম সুযোগেই আনচেলত্তি কোনো ঝুঁকি নেননি। পুরোনো যোদ্ধারাও তাকে হতাশ করেননি।
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ৬২ বছর পর ফ্রাঙ্কফুর্টের মুখোমুখি হয়েছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি। সর্বশেষ ১৯৬০ ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৭-৩ গোলে হারিয়েছিল রিয়াল। একাই চার গোল করেছিলেন রিয়াল কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাস। হ্যাটট্রিক তুলে নেন রিয়ালের আরেক কিংবদন্তি আলফ্রেড ডি স্টেফানো। ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে আর কোনো ফাইনালেই এত গোল (১০) হয়নি। কিন্তু এ দুটি ক্লাবের দ্বিতীয় মুখোমুখিতে তেমন কিছু দেখা গেল না। আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ ও গতিময় ফুটবল খেলেছে দুই দলই, শুধু গোলের দেখা পেয়েছে রিয়াল।
প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটে ডেভিড আলাবার গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। ৬৫ মিনিটে করিম বেনজেমার গোলে জয় মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় আনচেলত্তির দলের। ফ্রাঙ্কফুর্ট লড়াই করেও গোল আদায় করতে পারেনি। সুযোগও নষ্ট করেছে গত মৌসুমে ইউরোপা লিগজয়ী দলটি।
এই গোলের মধ্যে দিয়ে রাউল গঞ্জালেসকে (৩২৩ গোল) টপকে এখন রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা করিম বেনজেমা (৩২৪ গোল)। বেনজেমার সামনে আছেন শুধুই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (৪৫০ গোল)।
শেষ দিকে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করেছেন কার্লো আনচেলত্তি। ক্রুস, মদরিচ, ভিনিসিয়াসদের তুলে রদ্রিগো, চুয়ামেনি, রুডিগারদের মাঠে নামান রিয়াল কোচ। অবশ্য আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ফ্রাঙ্কফুর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
এআর