২০২২ বিশ্বকাপকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আয়োজক দেশ কাতার। এরইমধ্যে সামরিক জোট ন্যাটো ও বেশ কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা 'কিউএনএ' জানিয়েছে, কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্যের 'ওয়ারটন এয়ার বেজ'-এ 'টাইফুন' যুদ্ধবিমানের উদ্বোধন করা হয়। দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে সেদিন ২৪টি যুদ্ধবিমানের প্রথমটি কাতার আমিরি এয়ার ফোর্সের কাছে হস্তান্তর করা হয়। চলতি মাসেই এটি কাতারে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। সবমিলিয়ে যুদ্ধবিমানগুলোর মোট মূল্য প্রায় প্রায় আট বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ব্রিটিশ এরোস্পেস কোম্পানি 'বিএই সিস্টেমস' জানিয়েছে, ২০১৭ সালে এক চুক্তির আওতায় ২৪টি যুদ্ধবিমান কিনেছে কাতার। এর মধ্যে একটি হস্তান্তর করা হয়েছে। যুদ্ধবিমানগুলো চালনার জন্য কাতারি পাইলটদের প্রশিক্ষণও দেবে যুক্তরাজ্যের বিমানবাহিনী। এছাড়া যুদ্ধবিমানগুলো রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে আপগ্রেড করার ক্ষেত্রেও দুই পক্ষ একসঙ্গে কাজ করবে।
কাতার হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহযোগী। যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম কেনে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী আরব দেশটি। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিরাপত্তার জন্য দুই দেশ মিলে কাজ করবে বলে চুক্তিও করেছে। সেই যুক্তি অনুযায়ী, কাতারি নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী। গত মে মাসে কাতারি আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির যুক্তরাজ্য সফরের পর দেশ দুটির মধ্যে সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়। এরপরই কাতার বিশ্বকাপে 'এয়ার পুলিশিং'-এ সহায়তার ঘোষণা দেয় লন্ডন।
'টাইফুন স্কোয়াড্রন', যাকে 'টুয়েলভ স্কোয়াড্রন' বলা হয়; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাজ্যের প্রথম যৌথ স্কোয়াড্রন। এই দলটি বিশ্বকাপে জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করবে। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক এই স্কোয়াড্রন ২০১৮ সালের জুলাই থেকে কাতারি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
যুক্তরাজ্য ছাড়াও কাতার বিশ্বকাপের নিরাপত্তার দেখভাল করতে যুক্ত হয়েছে আরও কয়েকটি দেশ। এ মাসের শুরুতে জর্ডানের পক্ষ থেকে দেশটির সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের বিশ্বকাপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। অন্যদিকে তুরস্কের পক্ষ থেকে গত জুলাইয়ে জানানো হয়- বিশ্বকাপের নিরাপত্তায় দেশটি রাসায়নিক, জৈবিক, রেডিওলজিক্যাল এবং পারমাণবিক প্রতিরক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ পাঠাবে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে তুরস্ক বিশ্বকাপের জন্য কাতারে তিন হাজার দাঙ্গা পুলিশ পাঠানোর ঘোষণা দেয়। এছাড়া ৪০ জন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ পাঠানোর পরিকল্পনাও প্রকাশ করে তারা। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়াও সামরিক পুলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। অন্যদিকে ফান্স সামরিক সদস্য পাঠানোর পাশাপাশি কাতারকে সামরিক অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, যুদ্ধবিমানের হামলা থেকে সুরক্ষার জন্য ডিফেন্স সিস্টেম দিচ্ছে।
কাতার বিশ্বকাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) ও 'ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। অপরদিকে মরক্কো পাঠাচ্ছে হাজারো পুলিশ সদস্য এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
এমএইচএম
?Major milestone achieved✅
— BAE Systems Air (@BAESystemsAir) August 15, 2022
Today, we’ve handed over the first of 24 @eurofighter Typhoons to the Qatar Emiri Air Force at a ceremony in Warton, Lancashire. This jet will provide critical air support during @FIFAWorldCup this year.
Find out more at: https://t.co/bGE3QKm4T2 pic.twitter.com/w2sfQu8ZZJ