১৪ বছর ধরে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে নিয়মিত খেলছেন আনহেল দি মারিয়া। তাই ক্যারিয়ারে অভিজ্ঞতা কম না।
চতুর্থ ও ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে ডি মারিয়ার চোখ এখন কাতারে। তার আগে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম লা নাসিওনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যে পরিমাণ মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আমাদের দেশে আছে, এতে করে আর্জেন্টিনা দলে এতো বছর ধরে টিকে থাকা সহজ নয়। আমি প্রচুর সমালোচনার শিকার হয়েছি তবুও ১২৪টি ম্যাচ খেলেছি, আমি মনে করি সবাই তা করতে পারে না। ’
ক্যারিয়ারের লম্বা সময় ধরে দি মারিয়ার কাছের বন্ধু সময়ের সেরা ফুটবলারদের একজন লিওনেল মেসি। বন্ধুকে নিয়ে প্রশংসার শেষ নেই তার। সমর্থকদের মতো তিনিও মেসিকে একজন এলিয়েন বা ভিন গ্রহের প্রাণী হিসেবেই দেখেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মেসি পাশে থাকা মানে সবকিছু। সে বিশ্বসেরা, বামনটা একজন এলিয়েন। এবং আমি আবারও তা বলব। তা বলতে গিয়ে কোনো ক্লান্তি আসবে না। মেসির সঙ্গে খেলা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা দিক। কারণ তাকে প্রতিদিন দেখতে পারাটা খুবই চমৎকার। আমরা একসঙ্গে অনেক বছর ধরে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছি এবং তার সঙ্গে একই ক্লাবেও খেলতে পেরেছি। তার সঙ্গে খেলাটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। সে খুবই পরিপক্ক ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ’
মেসি কীভাবে মাঠের খেলায় সাহায্য করে এমন প্রশ্নে দি মারিয়ার জবাব, ’আমি সবসময় তার সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করি, তার খোঁজে থাকি। সে যেকোনো কিছু সমাধান করতে পারে তবে এটাও বুঝি তাকেই সবসময় বল দেওয়াটা জরুরি নয়। কখন দেয়া যায় সেই ব্যাপারে আপনাকে ভাবতে হবে। অনুশীলনে তাকে দেখে আপনার মনে হবে, আমি যা দেখছি তা সত্যি হতে পারে না। যদিও সে এলিয়েন, মাঝেমধ্যে নিজেকেও অন্যান্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ’
সময়ের সেরা দল নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে নামবে আর্জেন্টিনা। তাই ফেভারিটদের তালিকায় তাদের অবস্থান উঁচুতেই। তবে দি মারিয়া পা মাটিতেই রাখছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ জয়ের জন্য আমরা লড়াই করতে পারি। আমরা ভালো ছন্দে আছি, কোপা আমেরিকা জিতেছি ও ফিনালিসামাও। দল একত্রিত অবস্থায় আছে। এটা নিশ্চিত আমরা প্রতিটি ম্যাচের জন্য লড়াই করব। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৩১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
এমএইচবি/এএইচএস