রেকর্ড কড়া নাড়ছিল তার দুয়ারে। অপেক্ষায় ছিলেন সময়ের।
স্টেডিয়াম ৯৭৪ -এ ঢালাওভাবে আক্রমণ করলেও প্রথমার্ধে কোনো গোল পায়নি পর্তুগিজরা। ম্যাচ শুরুর মাত্র ১০ মিনিটেই সহজ সুযোগ পান রোনালদো। বের্নার্দো সিলভার বাড়িয়ে দেওয়া বলে ছোঁয়া লাগালেও, তা দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন ঘানা গোলরকক্ষ লরেন্স আতি জিগি। ১৩ মিনিটে কর্ণার থেকে আসা বলে রোনালদো লাফিয়ে উঠে হেড করলেও, তা পোস্টের অনেক বাইরে দিয়েই চলে যায়। বাকিটা সময় দুই প্রান্ত থেকে একের পর এক আক্রমণ চালায় পর্তুগাল। ব্রুনো ফার্নান্দেস, হোয়াও কান্সেলো, সিলভা, হোয়াও ফেলিক্সদের নিয়ে বানানো পর্তুগালের সোনালী প্রজন্ম সেভাবে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেননি।
তবে বিরতির অনেকটাই তেতে উঠে ঘানা। কিন্তু ৬২ মিনিটে রোনালদোকে ডি বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়ে দলের বিপদ ডেকে আনেন সালিসু। পেনাল্টি থেকে বিশ্ব রেকর্ডটি গড়তে কোনো ভুল করেননি রোনালদো। এনিয়ে বিশ্বকাপে তার মোট গোলসংখ্যা আটটি। একই সঙ্গে বিশ্বকাপে পর্তুগালের হয়ে সবচেয়ে কনিষ্ঠ ও বয়স্ক গোলদাতাও তিনি।
১-০ গোলে অবশ্য খুব বেশি সময় এগিয়ে থাকতে পারেনি পর্তুগাল। ৭৩ মিনিটে ঘানাকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক আন্দ্রে আইয়ু। বাঁ প্রান্ত থেকে কুদুসের রক্ষণচেরা পাসটি পোস্টের ছয় গজের ভেতর থেকে দারুণভাবে কাজে লাগান তিনি।
এরপরই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জ্বলে উঠে খেলা। তাতে অবশ্য পর্তুগালের সঙ্গে ঘানার ব্যবধানটা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। তাই তো মাত্র ২ মিনিটের ব্যবধানে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। দুটি গোলেরই জোগানদাতা ব্রুনো ফার্নান্দেস। ৭৮ মিনিটে তার পাস থেকে পর্তুগালকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন হোয়াও ফেলিক্স। দুই মিনিট পর রাফায়েল লিয়াওকে দারুণ এক গোল বানিয়ে দেন সেই ফার্নান্দেস।
তবে ম্যাচ তখনো শেষ হয়ে যায়নি। তাই হাল ছাড়েনি ঘানাও। ৮৯ মিনিটে ব্যবধান ৩-২ করেন ওসমান বুকারি। বাঁ প্রান্ত রহমানের অসাধারণ ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে পর্তুগালের বুকে কাঁপুনি ধরান তিনি। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা। তবে দানিলো পেরেইরা কৃতিত্বে এ যাত্রায় রক্ষা মিলে, তাই শেষ হাসিটা পর্তুগিজদেরই ছিল। রোনালদোর ইতিহাস গড়া ম্যাচ তো আর বৃথা যেতে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
এএইচএস