ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আরও ১০০ হাসপাতালে চালু হচ্ছে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
আরও ১০০ হাসপাতালে চালু হচ্ছে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস 

ঢাকা: আগামী সপ্তাহের মধ্যে দেশের আরও ১০০টি হাসপাতালে চিকিৎসকদের সান্ধ্যকালীন সেবা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।  

বুধবার (২ মে) দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস পুরোদমে চলছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এতে চিকিৎসক ও রোগী—সবাই সন্তুষ্ট। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ১০০টি প্রতিষ্ঠানে এই সান্ধ্যকালীন সেবা শুরু করা হবে। পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী অল্পদিনের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করে দেব।

ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ নামের একটি সেবা নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১১ মে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে।  এতে নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন থাকবেন। প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রী বলেন, ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ আরও গতিশীল করতে যাচ্ছি। সরকারিভাবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে, সেটা বিনামূল্যে। ইউনির্ভার্সাল হেলথ কভারেজের ভিত্তি হলো জনগণকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। সরকারিভাবে বিনামূল্যে দিয়ে আসছি, এখন বেসরকারিভাবে কীভাবে রোগীদের খরচ কমিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ আমরা অনেকাংশে বাস্তবায়ন করতে পারব।

সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৭১ সালের ২ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। প্রথম মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ডা. টি হোসেন। ছোটো আকারে অল্পকিছু ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়ে এ অধিদপ্তরের কাজ শুরু হয়। তারা মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা সেবা দেন। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কলেবর অনেক বেড়েছে।  

যেখানে তখন একটি শয্যাও ছিল না, সেখানে এখন ৬০ হাজার শয্যা রয়েছে। ৩৩ হাজার চিকিৎসক রয়েছেন। ৪৫ হাজার নার্স রয়েছেন। আর জেলা-উপজেলা, মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউট মিলিয়ে সাড়ে ৭০০ হাসপাতাল রয়েছে আমাদের। ১৮ হাজার ক্লিনিক হয়েছে। এর মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক ১৪ হাজার। এখন সব ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হয়। বাইপাস সার্জারি, ট্রান্সপ্ল্যান্ট হচ্ছে বাংলাদেশে। চিকিৎসা সেবার পরিধি অনেক বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।