ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মার্কিন প্রতিবেদন: দেশে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুহার প্রতি লাখে ১৯৪

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১২

ঢাকা: সন্তান প্রসবকালে বাংলাদেশে প্রতি লাখে ১৯৪ জন মায়ের মৃত্যু ঘটে। বুধবার প্রকাশিত ইউএসএআইডি’র ফিস্টুলা সেবা প্রকল্পের গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।



ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাতিষ্ঠানিক সন্তান প্রসবের হার ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সন্তান প্রসবের সময় উপস্থিত দক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্তদের হার ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যা এদেশে মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নতির নির্দেশক।

তবে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুহার আরো হ্রাস করাটা ফিস্টুলার ও সন্তান জন্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সমস্যার চিকিৎসার ওপর নির্ভর করবে।

গবেষণার ফলাফলগুলো চিকিৎসাসেবা প্রদানকারীদের গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্য পরিস্থিতির প্রকোপ রোধ ও এর চিকিৎসায় সহায়তা করবে। বাংলাদেশে প্রতি ১ হাজার নারীর মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৬৯ জন এই স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত।

ইউএসএআইডি’র ফিস্টুলা সেবা প্রকল্প বাংলাদেশের তিনটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে। এগুলো হলো টাঙ্গাইলের কুমুদীনি হাসপাতাল, দিনাজপুরের ল্যাম্ব হাসপাতাল ও কক্সবাজারের মেমোরিয়েল খ্রিস্টান হাসপাতাল।

প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো- ফিস্টুলা রোধ ও সারিয়ে তোলা এবং যেসব রোগী ফিস্টুলা থেকে সেরে উঠেছেন তাদের পুনর্বাসন করা। প্রকল্পটি রোগীদের আয় করতে সহায়তা করবে এমন দক্ষতা প্রদান  এবং  নিজস্ব জনগোষ্ঠী ও পরিবারে ফিরে যেতে সহায়তা করছে।

অন্তঃসত্তা নারী যাতে নিরাপদভাবে সন্তান প্রসব করতে, একটি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে ও অবস্টেট্রিক্স ফিস্টুলার মতো সমস্যা এড়িয়ে যেতে পারে সেজন্য এ দুই গবেষণার ফলাফল সরকার ও বেসরকারি খাতকে আরো উন্নত কৌশল ও কার্যপ্রণালী প্রণয়নে দিকনির্দেশনা দেবে।
অবস্টেট্রিক্স ফিস্টুলা রোধ করা যায়। অবস্টেট্রিক্স ফিস্টুলার কারণ হলো- দারিদ্র ও শিক্ষার অভাব যার ফলে উপযুক্ত সময়ের আগে বিবাহ ও অন্তঃসত্বা হওয়ার ঘটনা দেখা দেয়। নারীদের ১৮ বছর বয়সের পর বিয়ে দেওয়া ও পরিবার পরিকল্পনার ব্যবহারে অন্তঃসত্তা হওয়া বিলম্বিত করা ফিস্টুলা রোধের প্রধান উপায়।

যখন অবস্টেট্রিক্স ফিস্টুলা দেখা দেয় তখন স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে করণীয় হলো- সন্তান প্রসব আরো অধিক প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে করা, ঘরে সন্তান প্রসব হলে দায়িত্বপ্রাপ্তদের আরো দক্ষ হওয়া, সন্তান প্রসবের সময় কোনোরকম জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত ও সঠিক স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট উপদেশ প্রদান, জরুরি ধাত্রীসেবা সুবিধা ও এক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তির প্রাচুর্য এবং স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবে সমস্যা দেখা দিলে সেবাকেন্দ্রে সিজারিয়ান সেকশনে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা।

অবস্টেট্রিক্স ফিস্টুলা নিরাময়যোগ্য। বাংলাদেশ সরকারের ১০টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ইউএসএআইডি অর্থায়নপুষ্ট চারটি বেসরকারি হাসপাতাল, ঢাকা ও যশোরে দুটি আদ্-দ্বীন হাসপাতাল ও কুমুদীনি হাসপাতাল এবং ল্যাম্ব হাসপাতাল এ সমস্যা সমাধানে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও পূনর্বাসন সেবা দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১২
কেজেড/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।