ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শিশুদের দূরে রাখুন ফাস্টফুড থেকে

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৩
শিশুদের দূরে রাখুন ফাস্টফুড থেকে

ঢাকা: আজকের আধুনিক শহুরে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের জীবনে ফাস্টফুড এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে ৫ কোটি মানুষ প্রতিদিনই কোনো না ভাবে ফাস্টফুড গ্রহণ করে।

সহজলভ্যতা, সহজপ্রাপ্যতা কিংবা কম ঝামেলার কারণে খাদ্য হিসেবে দিন দিনই জনপ্রিয় হচ্ছে ফাস্টফুড।

কিন্তু ফাস্টফুডের এই সহজলভ্যতা বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ঠেলে দিচ্ছে এক ভয়ঙ্কর খাদ্যাভাসের ফাঁদে।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে তিনদিন ফাস্টফুড গ্রহণ শিশুদের অ্যাজমা ও অ্যাকজিমার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে অনেক বেশি।

বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রায় ৫ লাখ শিশুর ওপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে এলার্জি জনিত এসব রোগের প্রকোপের হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস ব্যাপকভাবে সংশ্লিষ্ট।

বিশেষ করে যেসব শিশু ফাস্টফুডে আসক্ত তাদের অ্যাজমা, একজিমা, চুলকানি, চোখ ওঠা প্রভৃতি অ্যালার্জি জনিত রোগে তাদের অধিক হারে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।

উচ্চ মাত্রার ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এসব ফাস্টফুড মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে জানিয়েছে স্বনামধন্য চিকিৎসা সাময়িকী থরাক্স জার্নাল।

গবেষণায় দেখা গেছে কৈশোরের প্রারম্ভে অবস্থানকারী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যারা প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনবার ফাস্টফুড খেতে অভ্যস্ত, তাদের মধ্যে মারাত্মক ধরণের অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার হার ৩৯ শতাংশ বেশি। ছয় থেকে সাত বছরের শিশুদের মধ্যে এ হার ২৭ শতাংশ।

গবেষক দলের সদস্য নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনস অ্যাসহার এবং ব্রিটেনের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হাইওয়েল উইলিয়ামস বলছেন, ফাস্টফুড গ্রহণের সঙ্গে শিশুদের অ্যাজম‍া, অ্যাকজিমা ‍ও অ্যালার্জি জনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির বিষয়টি সারা বিশ্বের শিশু স্বাস্থ্যের জন্যই একটি মারাত্মক হুমকি।

তাই অভিভাবকদের প্রতি ‍পরামর্শ আপনার প্রিয় শিশুদের ফাস্টফুড থেকে বিরত রাখুন। এর বদলে গড়ে তুলুন শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যেস। ফাস্টফুডের বদলে শিশুদের খেতে দিন ঘরে তৈরি খাবার।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৩
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।