ঢাকা: রোগের ধরন পরিবর্তন হওয়াতে ওষুধের ধরনও পরিবর্তন হচ্ছে। এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারও কমে আসছে।
বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটি’র আয়োজনে শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে ‘স্বাস্থ্য সেবা ও ওষুধ শিল্পের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বক্তারা।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, দেশে প্রয়োজনীয় ওষুধ তৈরি হলেও, কাঁচামালের উৎপাদন হচ্ছে না। আমদানি নির্ভর থেকে আমাদের বেরিয়ে এসে নিজেদের কাঁচামাল উৎপাদন করতে হবে। এ জন্যে বেশি গবেষণা করতে হবে।
ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে ওষুধ কোম্পানিগুলোর অনৈতিক প্রচারনার সমালোচনা করেন তিনি।
ওষুধ প্রশাসনের প্রাক্তন পরিচালক জহুরুল হক বলেন, এখন আর আগের মতো আমাদের ওষুধ আমদানি করতে হচ্ছে না। এ কারণে বিদেশ থেকে আমদানি করা যে ওষুধ ছয় হাজার টাকায় কিনতে হতো, দেশে উৎপাদনের কারণে তা চার হাজার টাকায় কেনা সম্ভব হচ্ছে।
প্রাথমিক স্তরেই রোগ প্রতিরোধ করতে পারলে স্বাস্থ্য সেবা অনেকাংশে পূরণ সম্ভব বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ডাবলু। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটির সভাপতি আ ব ম ফারুক বলেন, দেশে নকল ও ভেজাল এবং নিম্নমানের ওষুধের উৎপাদন কমলেও দেশে এখনো প্রচুর পরিমাণে নিম্নমানের ওষুধ রয়েছে।
এ বিষয়ে শক্ত ব্যবস্থা না নিলে বর্হিবিশ্বে ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার রায়, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক আবু সাঈদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৩
এমএন/সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, [email protected]