ঢাকা: রমজান মাসে খাদ্যগ্রহণে সংযমী হওয়া প্র্রয়োজন। পাশাপাশি এ মাসের উপযোগী স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও ডায়েট সম্পর্কে কিছু তথ্যও রোজাদারদের জানা থাকলে ভালো হয়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ এবং নিয়মিত মানসিক ও শারীরিক অনুশীলন রমজানে একই সঙ্গে আধ্যাত্মিক ও শারীরিক চাহিদা মেটাতে পারে।
অন্য মাসের স্বাভাবিক খাবারদাবার থেকে রমজান মাসের খাবার গ্রহণে খুব একটা ভিন্নতা নেই। তবে খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ আর সময়ের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন জরুরি।
সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন শস্যজাতীয় খাবার, শাকসবজি, ফলমূল, দুধসহ মাছ, মাংস এবং ডিম। তবে সারা দিন রোজা রাখার পর খাবার নির্বাচন ও গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতা প্রয়োজন।
দ্রুত হজম হয় এমন খাবারের পরিবর্তে হজম হতে বেশি সময় লাগে এমন খাবার গ্রহণ করা দরকার। অর্থাৎ এমন সব খাবার গ্রহণ করা উচিত, যা হজম হতে অন্তত আট ঘণ্টার মত সময় লাগে। এ রকম খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লাল চাল, লাল আটা, ওটস, বার্লি, নানা রকমের ডাল, শিমের বিচি ইত্যাদি।
শস্যজাতীয় খাবার ছাড়াও রমজানে রোজাদারদের শাকসবজি, খোসাসহ ফল, শুকনা ফল, বাদাম ইত্যাদি খাদ্য আঁশসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।
এছাড়া যতটা সম্ভব ভাজা পোড়া ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। এ ধরনের খাবারে বদহজম, বুক জ্বালা পোড়াসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
তবে রমজানে রোজাদারদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পানি। প্রতিদিন কমপক্ষে আট গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করা জরুরি। তকে একসঙ্গে বেশি না করে ইফতার ও সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
সেহরির খাবার নির্বাচনে নজর দিতে হবে আমিষ, জটিল শর্করা ও আঁশ জাতীয় খাদ্যের দিকে। এক থেকে দেড় কাপ লাল চালের ভাত, মিক্সড সবজি, মাছ বা মুরগি, ডাল, দই অথবা এক কাপ ননিবিহীন দুধ খাওয়া যেতে পারে সেহরিতে।
ইফতার শুরু করা উচিত দ্রুত হজম হয় এমন ধরনের শর্করাজাতীয় খাবার দিয়ে। সঙ্গে দরকার পর্যাপ্ত পানি। কারণ সারা দিন রোজা রাখার পর স্বাভাবিকভাবেই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়।
ইফতারের খাবারকে দুইভাগে ভাগ করে খাওয়া শ্রেয়। প্রথম ভাগ মাগরিবের নামাজের আগে। এ সময় খাওয়া যেতে পারে খেজুর, হালকা গরম ভেজিটেবল বা চিকেন স্যুপ, ছোলা সিদ্ধ, যেকোনো ফলের জুস বা লাবাং। মাগরিবের নামাজের পর খাওয়া যেতে পারে পায়েস,দই,চিঁড়া,ওটস, কলা বা আপেল।
রমজানে প্রথম রাতের খাবার হালকা হওয়াই ভালো। সব ধরনের ফল থেকে শুরু করে রাতের খাবার হতে পারে ভাত, মাছ বা মুরগি ১ টুকরা, সবজি, সালাদ ইত্যাদি। এক্ষেত্রে খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ কম হওয়াই ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৩
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর