ঢাকা: এ কথা সবারই জানা যে, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হওয়া, হাপানি দেখা দেওয়া, আয়ু কমে যাওয়া, ক্যান্সার আক্রমণ করা এবং মাঝে মধ্যে হার্টফেলেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায় ধূমপান।
ধূমপায়ী ব্যক্তিরা ইচ্ছে করলেও অনেক সময় সঠিক উপায় অবলম্বন করতে না পারার কারণে ফের ধূমপানের দিকে ঝুঁকে পড়েন। স্বাস্থ্য ও প্রাণঘাতী এই অভ্যাস ত্যাগে কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করছে বাংলানিউজ।
প্রথমত, ধূমপান ছাড়ার জন্য প্রথমে এর বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে হবে এবং মন থেকে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, ধূমপান শুধু নিজেরই ক্ষতি করছে না, সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতি করছে পরিবেশের, ধূমপায়ীর সঙ্গে বসবাসরত বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী এবং অন্য স্বজন বা বন্ধুদেরও।
দ্বিতীয়ত, ধূমপানের প্রতি আসক্তি কমাতে হবে। অনেকদিন ধরে ধূমপান করার ফলে এর রাসায়নিক পদার্থ নিকোটিনের প্রতি মস্তিষ্ক আসক্ত হয়ে পড়ে। প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে ধূমপান পরিত্যাগ করতে পারেন না। কারণ, ধূমপান পরিত্যাগ করলে শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। তাই চিকিৎসা ছাড়া ধূমপান পরিত্যাগ করা অনেক কষ্টকর। এক্ষেত্রে প্রথমে ধূমপান করার পরিবর্তে নিকোটিনযুক্ত গাম, লজেন্স ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। পরে ধূমপানে আসক্তি কমে গেলে নিকোটিকযুক্ত গাম, লজেন্সও ছেড়ে দিতে হবে।
এছাড়া,
• মানসিক চাপ কমাতে হবে, প্রয়োজনে হালকা ম্যাসাজ করা যেতে পারে।
• অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে।
• ধূমপানে বেশি ইচ্ছে হলে অন্য দিকে মনোযোগী হতে হবে।
• ধূমপান ত্যাগের জন্য বারবার চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু একবার ছেড়ে দিলে আর ধূমপান করা যাবে না।
• নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে।
• প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে।
• ধূমপান বন্ধ করলে যে যে অর্থ সাশ্রয় হবে তার একটা অংশ হালকা রকমের বিনোদনে ব্যয় করতে হবে।
• বন্ধু-বান্ধব বা প্রিয়জনকে খুশি করার জন্য নয়, নিজের সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যেই ধূমপান বন্ধ করতে হবে।
• এছাড়া, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়:২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৩
এইচএ/জিসিপি