ঢাকা: পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আয়োজনে পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশু স্বাস্থ্যসেবা ও প্রচার সপ্তাহ ২০১৩ শুরু হচ্ছে শনিবার। বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য সূচক, মোট প্রজনন সংখ্যা হ্রাস এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য সূচক উন্নয়নের এর প্রধান লক্ষ্য।
আগামী ৩১ অক্টোবর এ সপ্তাহ শেষ হবে। ‘নারী স্বাস্থ্য অধিকার সুরক্ষায় বাল্যবিবাহ রোধ করুন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ইউএনএফপি’র আর্থিক সহায়তায় এ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ শুরু হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্যসচিব এমএম নিয়াজউদ্দিন সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অপরিমিত সংখ্যা যে কোনো দেশের উন্নয়নের পথে অন্তরায়। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বর্তমান হারে বাড়তে থাকলে আগামী ৫০ বছরের তা দ্বিগুণ হবে। দেশের বর্তমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭।
নিয়াজউদ্দিন বলেন, জনসংখ্যা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে রাখা, মা ও শিশুর সুরক্ষা, জীবনমান উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর জনসংখ্যার বৃদ্ধি হ্রাস, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, বয়োসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নয়ন, নিরাপদ মাতৃত্ব ও জেন্ডার বিষয়ক কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক হয়নি।
তিনি বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কিশোরী মাতৃত্বের কুফল, মা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে সেবাকেন্দ্রে সেবা গ্রহণের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং নতুন নতুন তথ্য ও সেবা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্যই এই প্রচার সপ্তাহ পালন করা হবে।
এই প্রচার সপ্তাহে জেলা পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা এবং প্রথমবারের মতো স্থানীয়ভাবে জেলার প্রচার কার্যক্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবাবার পরিকল্পনা সূচকে পিছিয়ে পড়া চট্টগ্রাম বিভাগে বিশেষ প্রচারণা এবং সেবা প্রদানের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করার বিষয়টি গৃহীত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত সেবা ও প্রচার সপ্তাহের প্রতিবেদন থেকে আমরা দেখতে পাই, ওই সপ্তাহে মোট চার লাখ ৯৫ হাজার ৯৯০ জন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সেবাকেন্দ্র থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন।
এর মধ্যে স্থায়ী পদ্ধতি ১০ হাজার ৮৮২ জন, দীর্ঘ মেয়াদী পদ্ধতি ৪৮ হাজার ৯৮১ জন ও অস্থায়ী পদ্ধতি এক লাখ ৪ হাজার ৫৮৩ জন সেবা গ্রহণ করেন।
মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩৭ জন ও কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ২০৭ জন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিবার পারিকল্পনা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক গণেশ চন্দ্র সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৩
জেএ/টিএকে/এএ/এমজেডআর