ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শহীদদের স্মরণে ক্যাম্পস’র ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬
শহীদদের স্মরণে ক্যাম্পস’র ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রতিবারের মতো এবারও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায় হাতিবান্ধা গ্রামে এ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।



কিডনি বিশেষজ্ঞ ও ক্যাম্পস’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপি ‘ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু ক্যাম্প’ শীর্ষক এ কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়। এছাড়া ক্যাম্পস’র নিয়মিত প্রকাশনা ‘প্রয়াস ১২’-এর মোড়ক উম্মোচণ করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন।

ক্যাম্পস আয়োজিত এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চার হাজারের মতো রোগীকে কিডনী, হার্ট, গ্যাস্ট্রোন্ট্রোলজি, গাইনি, অর্র্থোপেডিক, ডায়াবেটিস, নাক-কান-গলা, মেডিসিন, ডেন্টাল, বাতের ব্যাথা, প্যারালাইসিসসহ সবগুলো বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এছাড়াও তিনশ’র বেশি রোগীর চোখের ছানি অপারেশন ও লেন্স প্রতিস্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। সেই সঙ্গে বিনামূল্যে এসব রোগীর প্রয়োজনীয় রক্ত, ইউরিন ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রাম এবং ইসিজি সম্পন্ন করা হয়।

মেডিকেল ক্যাম্পের পাশাপাশি ‘সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু লাভে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করুন’  শীর্ষক একটি আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন ব্যুরো বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন, সখিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শওকাত শিকদারসহ আরও অনেকে।

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল মালেক মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় কিডনি বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. এম এ সামাদ।

তিনি বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্থেই ক্যাম্পস গত ১২ বছর ধরে দরিদ্রদের মাঝে এই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের আয়োজন করে আসছে। বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোনো না কোনো কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত। কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি ঘন্টায় মৃত্যু হচ্ছে পাঁচজন লোকের। সাধারণত ৭৫ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে কিডনি নষ্ট হওয়ার আগে তারা বুঝতেই পারেন না।

অধ্যাপক সামাদ বলেন, দেশে অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৬৩ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। আগামী ১০ বছরে এ হার ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। কারণ প্রতিবছর এ সংখ্যা ২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জীবন সংহারী এসব রোগের মধ্যে হৃদরোগ, ফুসফুসের জটিলতা, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ উল্লেখযোগ্য। অথচ একটু সচেতনতা ও জীবনধারণ পদ্ধতির পরিবর্তনে ৫০ থেকে ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে এসব রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।