এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের সব দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালেও শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরেননি।
তবে অবস্থান ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি থেকে ফিরে এসেছেন শিক্ষার্থীরা।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান তুষার বাংলানিউজকে জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছে ৭ দিনের মধ্যে সব দাবি বাস্তবায়ন করবে। এ কারণে আমরা অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি। তবে পুরো পরিস্থিতি দু’একদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। দাবির বাস্তবায়ন হলেই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যাবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর বাঘমারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে জাহাঙ্গীর (১৬) নামে স্থানীয় বহিরাগত এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকেই কলেজটির ছাত্র হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করেন।
একইসঙ্গে তারা শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। এবং কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে বসে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৈঠক শেষে সেদিন বিকেলে কলেজ প্রিন্সিপাল ডা. আনোয়ার হোসেন শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন।
এছাড়া ছাত্র হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের প্রতিশ্রুতিও দেন। তিনি জানান, ওইদিন সকাল থেকেই হোস্টলে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
এমএএএম/জেডএস